প্রতিনিধি ৬ মার্চ ২০২৪ , ৭:৫০:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে আবারও সরব রাজধানীর কূটনীতিক পাড়া। এবারের আলোচনার বিষয় গুলশানে তার বাসায় ড. ইউনূসের নৈশভোজ নিয়ে।
সোমবার (৪ মার্চ) রাতে পিটার ডি হাসের সঙ্গে একত্রে ডিনার করেছেন ড. ইউনূস।ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে গ্রামীণ শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান নূরজাহান বেগম ছিলেন। পরে রাত ৯টার দিকে বাসভবন থেকে ড. ইউনূস বেরিয়ে আসেন।
নৈশভোজে তাদের মধ্যে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।তবে মার্কিন দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়,বৈঠকে গ্রামীণ এবং অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মসূচি নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের ওই সূত্র জানায়,বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সহায়তাকারী ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান টেকনোলজি অফিসার গ্রেগ নেলসনের সঙ্গে প্রফেসর ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ উপলক্ষে পিটার হাস ওই বৈঠক ও নৈশভোজের আয়োজন করেন।
নৈশভোজের বিষয়ে ইউনূস সেন্টার থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সহায়তাকারী ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ‘অপরচুনিটি ইন্টারন্যাশনাল’-এর প্রধান চিফ টেকনোলজি অফিসার গ্রেগ নেলসনের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ উপলক্ষে পিটার হাস এই বৈঠকের আয়োজন করেন।
এদিকে,নৈশভোজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসও।মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে বলা হয়,যাদের কাজের মাধ্যমে লাখো মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন সেই দুই ব্যক্তি ডক্টর ইউনূস ও মিসেস বেগমক আমন্ত্রণ জানাতে পারায় সম্মানিত বোধ করছি।ডক্টর ইউনূস ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।পাশাপাশি আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে,এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার হিসেবে উদাহরণ হতে পারে।
অন্যদিকে, লিংকডইন পোস্টে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির লক্ষ্যে তাদের অসাধারণ কাজ সম্পর্কে কথা বলা অবিশ্বাস্য সৌভাগ্যের বিষয় ছিল।তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে এবং আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।আপনারা যে কাজ করেন,তার জন্য ধন্যবাদ।’