সারাদেশ

ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে ট্রাক তোলার সময় উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজার’ ক্রেনের তার ছিঁড়ে পড়ে যায়

  প্রতিনিধি ২২ জানুয়ারি ২০২৪ , ১:১০:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি।।মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে আরও একটি ট্রাক তোলার সময় উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজার’ ক্রেনের তার ছিঁড়ে আবার পড়ে গেছে।

মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ মিয়া জানান,সোমবার বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।পরে পাঁচ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় আরেকটি ট্রাক সনাক্ত করা হয়।ট্রাকটি টেনে ২ নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুনের কাছে এনে তোলা হচ্ছিল।অর্ধেক তোলার পর সেটি উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার ক্রেনের রোপ ছিঁড়ে আবার পড়ে যায়।

ট্রাকটি কিছুক্ষণের মধ্যেই তোলা যাবে বলে তখন ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন; যদিও বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সেটি উদ্ধার করা সম্ভব হয় নাই বলে জানা গেছে।

বুধবার সকাল ৮টার দিকে নয়টি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে ডুবে যায় ফেরি রজনীগন্ধা-৭। ফেরি ডুবে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন রজনীগন্ধার দ্বিতীয় মাস্টার হুমায়ুন কবির।বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের ধারণা, তিনি ডুবে যাওয়া ফেরিতেই আটকে আছেন।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, “ফেরি ডুবির দিন উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ গিয়ে একটি কভার্ডভ্যান ও একটি ট্রাক উদ্ধার করে।পরদিন আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ গিয়ে উদ্ধার করে তুলা বোঝাই একটি ট্রাক।রোববারও একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।

ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে তোলার সময় ছিঁড়ে পড়ল ট্রাক

“আজকে ট্রাকটি উদ্ধার হলে পাঁচটি যান উদ্ধার হবে। ফেরিটি ৪০-৫০ ফুট পানির নিচে রয়েছে।”

তীব্র শীত আর কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে তিনি জানান।বলেন, “আমরা বিআইডব্লিউটিএর তথ্য থেকে একাধিকবার জানিয়েছি, রোববার সন্ধ্যার আগেই ডুবন্ত ফেরিটি দৃশ্যমান করতে পারবে ‘প্রত্যয়’। তবে এখনও তা করা যায় নাই।”

নিখোঁজ দ্বিতীয় মাস্টার হুমায়ূন কবিরের বিষয়ে বলেন, “তার খোঁজ এখনও মেলে নাই।ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ডুবে যাওয়া ফেরিতেই আটকে আছেন।”

ছয়দিনেও ফেরিটি কেনো উদ্ধার করা যায় নাই এমন প্রশ্নে নৌ বাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরাণ ইমন বলেন, “নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর অর্ধশতাধিক ডুবুরি কাজ করে যাচ্ছে। বড় বড় ওয়্যার রোপ (তারের দড়ি) ফেরির নিচে একপাশে পাস করে প্রত্যয়ের ক্রেনের সঙ্গে অ্যাটাচ করা আছে। আরেক পাশে ওয়্যার রোপ অ্যাটাচ করে ফেরিকে লিভ করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

“প্রচুর শীত ও কুয়াশায় পানিতে বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না; ফলে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

আরও খবর

Sponsered content