রাজনীতি

‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’র ব্যাখ্যায় যা বললেন-মোশাররফ

  প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ , ৯:২১:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।এদেশের গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া বহু নির্যাতনের শিকার হয়েছে জনগণ।মা-বোনেরা ইজ্জত হারিয়েছেন।সেই বাংলাদেশ আমরা পুনরুদ্ধার করতে চাই।”টেক ব্যাক বাংলাদেশ” হলো সেই বাংলাদেশ,যে বাংলাদেশে একদম সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্রের চর্চা হবে। মানুষ ভোট দিতে পারবে। তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি তৈরি করতে পারবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।যে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সুবিচার হবে। বিচার ব্যবস্থাকে এখানে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ করা হবে।আমাদের প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করা হবে।বিএনপির বর্তমান স্লোগান ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’র ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগানের মানে হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধার করে গণমানুষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে ধরা খেয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন,সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে।চাপাবাজি ও নানা অপপ্রচার করতে গিয়ে জনগণের কাছে ধরা খেয়ে গেছে।এখানে সরকার জনগণের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার গায়েব করে ক্ষমতায় থাকার পথ প্রশস্ত করতে চায়।

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’বিএনপি ১০ দফা প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,যে দেশের জন্য বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণ দিয়েছেন, সেই বাংলাদেশ আমরা পুনরুদ্ধার করতে চাই। যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন,দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন সেই বাংলাদেশকে আমরা ফিরিয়ে দিতে চাই।

আওয়ামী লীগ ও সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন,এ সরকার দেশের অর্থ লুণ্ঠন করে দেশকে ধ্বংসের কিনারে ঠেলে দিয়েছে।নিজেদের স্বার্থে তারা বিচারালয়কে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ধ্বংস করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের নিয়মবহির্ভূত হুকুম পালন করতে গিয়ে আজকে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে।

বিএনপির ঢাকা সমাবেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ বলেন,যে সরকার গায়ের জোরে দিনের ভোট রাতে করতে চেয়েছে,জনগণ বিএনপির সমাবেশে এসে সে সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে।তারা বলেছে,হত্যা-গুম-খুনের সরকারকে বিদায় জানাতে চায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন বলেন,নীতিগত প্রশ্নে বিএনপি কখনও পাকিস্তানের ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাস করে না।বিশ্বাস করে এক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়।আজকে আওয়ামী লীগ সেই গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক সংযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মঈন বলেন,জামায়াতের সঙ্গে জোট তো ৯৬ সালে আওয়ামী লীগও করেছিল।এখন কথা হলো, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের সঙ্গে জোট করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলে যারা দাবি করে,সেই আওয়ামী লীগকেও কিন্তু তাদের সঙ্গে জোট করতে হয়েছে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, একাত্তরের সেই দোসরের দল জাতিকে মেধাশূন্য করতে, চিরতরে ধ্বংস করতে ১৪ ডিসেম্বর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।তারা ভালো করে জানতো,বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে পারলে বাংলাদেশকে মেরুদণ্ডহীন করা যাবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content