অপরাধ-আইন-আদালত

ঝালকাঠির রাজাপুরে কিছু বখাটে,মাদক সেবী ও মাদক বিক্রেতাদের আড্ডাখানা!

  প্রতিনিধি ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১২:২০:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি।।ঝালকাঠি’র রাজাপুর উপজেলাধীন সাতুরিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সাতুরিয়া গ্রামের সিএন্ডবি সড়ক সংলগ্ন মোবাইল টাওয়ারের বটতলা কিছু বখাটে, মাদক সেবী ও মাদক বিক্রেতাদের আড্ডা’য় পরিণত ।

এই স্হানটি “রাজাপুর-নৈকাঠী- সাতুরিয়া- বেকুটিয়া – পিরোজপুর “আঞ্চলিক মহাসড়কের সাতুরিয়া মেহেরুননেছা মেমোরিয়াল হাই স্কুল ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মস্থান থেকে আধা কিলোমিটার পূর্বে সাতুরিয়া গ্রামে অবস্থিত।

এই ঐতিহাসিক সাতুরিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত প্রভাবশালী মুসলমান জমিদার মিঞা বংশে(শেখ বংশে) মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম ও আন্দোলন এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা,অবিভক্ত বাংলার কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের আপোসহীন সংগ্রামী মহানায়ক ও পথিকৃত, ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের প্রণেতা ও উত্থাপক,সাতুরিয়া তথা দক্ষিণ বাংলার অহংকার ও গর্ব,অবিভক্ত বাংলা(১৯৩৭-১৯৪৩) ও পূর্ব পাকিস্তানের(১৯৫৪) মুখ্যমন্ত্রী এবং পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বাঙালি গভর্নর(১৯৫৬-১৯৫৮) শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক(১৮৭৩-১৯৬২)।

এই “ঐতিহাসিক সাতুরিয়া” ছিল বাঙালি জাতির আর একটি অন্যতম তীর্থস্থান ও পুণ্যভূমি।আজ অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে, অবস্হাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আজ সাতুরিয়া বাসী এই তীর্থস্থান ও পুণ্যভূমির প্রতি সঠিক শ্রদ্ধা জানাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

এই পথ দিয়েই সাতুরিয়া মেহেরুননেছা মেমোরিয়াল হাইস্কুল ও ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম কারিগরি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন পায়হেটে স্কুলে যাতায়াত করে। আজ দুর্ভাগ্য সাতুরিয়া বাসীর!

সাতুরিয়া আজ মাদক সাম্রাজ্যে পরিণত হচ্ছে ও এখানকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা এর স্বীকার হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতুরিয়া ও নৈকাঠী গ্রামের কয়েকজন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক জানান যে,সাতুরিয়া মোবাইল টাওয়ারের বটতলা সিঁড়ির উপরে কিছু বখাটে ও মাদক সেবী যুবক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের সময় ওখানে বসে বিভিন্ন অশালীন কথাবার্তা বলে ছাত্রীদের উত্যক্ত করে এবং প্রায় দিনই সকাল,বিকেল ও সন্ধ্যার পরে এখানে মাদকের জমজমাট আড্ডা বসে।

এখানকার একাধিক বয়স্ক লোকজন রিকসা ও অটোরিকশা চালকের আড়ালে বারোমাস রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে;এই মাদক ব্যবসায়ীরা রিকসা ও অটোরিকশা চালানোকে পুঁজি করে মাদক ব্যবসার ভিত্তি মজবুত করেছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে আরও জানা যায় যে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এলাকার প্রভাবশালী লোকজন জড়িত আছে ।

এলাকার সাধারণ মানুষ বখাটে ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে অসহায় ও জিম্মি হয়ে পড়েছে;এদের বিরুদ্ধে প্রাণের ভয়তে কোন লোকজনই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে এবং মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এলাকাবাসী এর প্রতিকারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছে।

বিস্তারিত সংবাদ——- আসছে

আরও খবর

Sponsered content