সারাদেশের খবর

ঝালকাঠির কীর্ত্তিপাশা পুরাতন স্কুল ভবনের নিলাম হাতিয়ে নিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান

  প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২৩ , ৪:৩৮:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি।ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের স্থানসিংহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন নিলাম কোন আগ্রহীকে অংশ গ্রহন করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সদর উপজেলা পরিষদে এ নিলামে অংশগ্রহনে ইচ্ছুকদের কীর্তিপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রহিম মিয়া ও তার সহযোগীরা বাধা প্রদান করে তাড়িয়ে দিয়েছে নাম মাত্র মূলে চেয়ারম্যান নিজেই হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।এ ব্যাপারে নিলাম অংশ গ্রহনে বঞ্চিতরা নিলাম কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন্নাহারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে,গত ২ মার্চ ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের স্থানসিংহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।সে অনুযায়ী ১৪মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নিলামে অংশ নিতে অভিযোগকারীরা উপজেলা পরিষদে যায়।

সেখানে কীর্তিপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রহিম মিয়া ও তার সহযোগীরা তাদের নিলাম অনুষ্ঠান কক্ষে প্রবেশে বাধা দেয় ও সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করে।তাদের তাড়িয়ে দিয়ে প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকা বাজার মূল্যের পুরাতন ভবনটি মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় নিলাম দেখিয়ে সরকারে বিপুল টাকা রাজেস্ব ফাঁকি দেয়।

এ ঘটনায় নিলামে অংশ গ্রহনে বঞ্চিতদের পক্ষে এজিএম মিজানুর রহমান ও বশির উদ্দিন খলিফা লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।অভিযোগে তারা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনসহ সরকারের রাজেস্ব আয় ও জনস্বার্থে পুনরায় নিলাম আহবানের আবেদন জানান।তারা বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান জানালে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে স্কুল ভবন নিলাম সম্পর্কে কিছু জানেনা বলে জানান।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জানান,“টেন্ডার ওপেনকালে ৩জন অংশগ্রহনকারী উপস্থিত ছিলেন।কেউ কাউকে বাধা দিয়েছে বলে আমার কাছে দৃষ্টিগোচর হয় নাই।তবে একজনে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। আমি সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখবো বাদা দেয়ার কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা।অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কীর্তিপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রহিম মিয়ার বক্তব্য জানতে একাধিক বার ফোন ও ক্ষুদেবার্তা দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

এ ব্যাপারে নিলাম কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন্নাহারের বলেন,নিলামে মাত্র ৩ জন অংশ গ্রহন করেছে আর কাউকে ডেকে পাওয়া যায়নি।পরবর্তীতে যারা অভিযোগ করেছে যেহেতু আমার অফিস সিসি ক্যামেরার আওতাভূক্ত দৃশ্যমান চিত্র পেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেবো।

আরও খবর

Sponsered content