চাকরির খবর

জ্বালানি বিভাগের বিভিন্ন দফতর ও কোম্পানিতে ৮ হাজার ৯৬৫টি শূন্য পদে নিয়োগ শীঘ্রই

  প্রতিনিধি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১:৫২:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।জ্বালানি বিভাগের বিভিন্ন দফতর ও কোম্পানিতে ৮ হাজার ৯৬৫ পদ শূন্য।সে তালিকা চেয়েছেন জ্বালানি বিভাগে যোগ দেওয়া নতুন সচিব।শিগগিরই শূন্যপদে জনবল নিয়োগ শুরুর প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হতে পারে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে।

জ্বালানি বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান,বাপেক্স এবং বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানিতে (বিজিএফসিএল) নিয়োগ প্রক্রিয়া চললেও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে রয়েছে চরম কর্মীখরা। কর্মকর্তাদের দাবি,লোকবলের অভাবে দৈনন্দিন কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে না।

কোভিড-১৯-এর দুই বছরে লোকবল নিতে পারেনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি কোনও বিভাগই।ফলে মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগেই কর্মী সংকট দেখা দেয়।এরমধ্যে অবসরে গেছেন অনেকে।তবে গত বছরের মাঝামাঝি সময় বিদ্যুৎ বিভাগ বিভিন্ন কোম্পানি এবং দফতরকে কর্মী নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।সেদিক থেকে জ্বালানি খানিকটা পিছিয়েই রয়েছে।

জ্বালানি বিভাগে যোগ দিয়েছেন নতুন সচিব ড. মোহাম্মদ খায়েরুজ্জামান মজুমদার।সচিব হিসেবে যোগ দেওয়ার পর প্রথম মাসিক সমন্বয় সভায় কর্মী সংকট আর শূন্যপদের প্রসঙ্গটি তুলে আনেন সংস্থা প্রধানরা।

সভায় জ্বালানি বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন জানান,জ্বালানি বিভাগে ৮ হাজার ৯৬৫টি শূন্য পদ রয়েছে। এগুলো পূরণ করা জরুরি।

তখন জ্বালানি সচিব কোন কোম্পানিতে কতটি শূন্যপদ রয়েছে তা এক মাসের মধ্যে জ্বালানি বিভাগকে জানানোর নির্দেশ দেন।

বৈঠকের একজন কর্মকর্তা বলেন,আমরা চাইছি শূন্যপদগুলো পূরণ করতে।এতে অনেক নতুন কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেন, লোকবল কম থাকার বিষয়টি আমরা দীর্ঘদিন থেকে আলোচনা করে আসছিলাম।এবার সেটির অবসান হবে বলে আশা করছি।

জ্বালানি বিভাগে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, পেট্রোবাংলা,বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), বাপেক্স ছাড়াও তেল এবং গ্যাস উত্তোলন,বিপণন কোম্পানি রয়েছে—যেসব কোম্পানিতে রয়েছে আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো। ফলে শিক্ষিত বেকারদের কাছে এসব চাকরি বেশ জনপ্রিয় বলে ধারণা করা হয়।

জ্বালানি বিভাগের যেসব কোম্পানি রয়েছে সেগুলোতে সরকারি বেতন কাঠামোর চাইতে দেড়গুণ বেতন দেওয়া হয়।একই সঙ্গে বছরে প্রফিট বোনাস হিসেবে মুনাফার ৫ ভাগ কর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানি ভালো মুনাফা করলে সারা বছরের বেতনের চাইতে একজন কর্মী প্রফিট বোনাস বেশি পেয়ে থাকে।এসব নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও কোম্পানি আইন অনুযায়ী এটি অবৈধ নয়।আবার চাকরি শেষে অবসরে গেলে কর্মীরা এককালীন অর্থও পেয়ে থাকেন।

আরও খবর

Sponsered content