বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সংবাদ

জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে-হ্যাকাররা

  প্রতিনিধি ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ২:১২:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ১৫০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন জিমেইলের।আর তাই ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করতে নিয়মিত জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকাররা।এ জন্য জিমেইল ব্যবহারকারীদের নিরাপদে রাখতে গুগল বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও সাইবার হামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অনেকেই।জিমেইল ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে মূলত তিনটি কৌশলে সাইবার হামলা বেশি করে থাকে হ্যাকাররা।জিমেইলে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত কৌশলগুলো দেখে নেওয়া যাক।

প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ই–মেইল বেশি পাঠিয়ে থাকে হ্যাকাররা। এসব ই–মেইলে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাকাউন্ট হালনাগাদের কথা বলে ব্যাংকের কার্ড নম্বরসহ বিভিন্ন আর্থিক তথ্য জানতে চাওয়া হয়।অনেক সময় অ্যাকাউন্ট বাতিলের হুমকিও দেওয়া হয় ই–মেইলগুলোতে। ব্যাংকের পাঠানো ই–মেইলের ভাষা অনুকরণ করে এসব ই–মেইল লেখা হওয়ায় অনেকেই ভুল করে কার্ড নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য জানিয়ে দেন।ফলে সহজেই ব্যবহারকারীদের অর্থ ও তথ্য চুরি করতে পারে হ্যাকাররা।

প্রলোভনমূলক ভুয়া ই–মেইল:-
বিভিন্ন দিবস বা অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে জিমেইলে স্প্যাম ও ফিশিং আক্রমণ বেশি করে হ্যাকাররা।এসব ভুয়া ই–মেইলগুলোতে সাধারণত কম দামে পণ্য বিক্রিসহ বিনা মূল্যে বিভিন্ন সুবিধা ও উপহার দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়।শুধু তা–ই নয়,লাভজনক ভুয়া ব্যবসায়িক ই–মেইলও পাঠায় হ্যাকাররা।এসব ই–মেইলে ক্লিক করলেই যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় হ্যাকারদের দখলে।

ক্ষতিকর লিংকসহ ই–মেইল:-
জিমেইলে প্রতারণার জন্য হ্যাকাররা যেসব ই–মেইল পাঠায়, সেগুলোতে বেশির ভাগ সময়ই ক্ষতিকর লিংক যুক্ত করা থাকে।বেশির ভাগ সময়ই বিস্তারিত তথ্য জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সুবিধা পেতে নিবন্ধন করতে বলা হয় ই–মেইলগুলোতে।কিন্তু লিংকে ক্লিক করলেই যন্ত্রে স্পাইওয়্যার সফটওয়্যার ও ভাইরাস প্রবেশ করে।

যেভাবে নিরাপদ থাকা যাবে:-
জিমেইলে নিরাপদ থাকার জন্য প্রথমেই অন্যদের পাঠানো ই–মেইলের উৎস যাচাই করতে হবে। অনেক সময় হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের বোকা বানানোর জন্য পরিচিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নামে ই–মেইল পাঠিয়ে থাকে।এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই ই–মেইল ঠিকানার কিছু শব্দ পরিবর্তন করে ভুয়া ই–মেইল ঠিকানা ব্যবহার করা হয়।আর তাই অন্যদের পাঠানো ই–মেইল খোলার আগে সেটির ঠিকানা ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে।শুধু তা–ই নয়,পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তিদের পাঠানো ই–মেইলে থাকা লিংকে ক্লিক করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

সাইবার হামলা থেকে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে দুই স্তরের নিরাপত্তা–সুবিধা রয়েছে জিমেইলে।এ সুবিধা চালু থাকলে পাসওয়ার্ড লেখার পর ব্যবহারকারীর ফোনে বার্তা বা কোড পাঠানো হয়।কোডটি ব্যবহার করেই শুধু অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায়।এর ফলে হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড হ্যাক করলেও জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকে।

আরও খবর

Sponsered content