শিক্ষা

জাতীয়করণে কত টাকা দরকার? যাচাই করছে কমিটি

  প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২৩ , ৫:৪৩:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।এ দুই কমিটি জাতীয়করণের যৌক্তিকতা,শিক্ষায় বিদ্যমান বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয় ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশমালা তৈরি করবে।একইসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের বিষয়ে সম্ভাব্য আর্থিক ব্যয়ের বিষয়টি যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক সিডিএমে এ সংক্রান্ত একটি কর্মশালা শুরু হয়েছে।কর্মশালার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুটি কমিটি গঠন করেছে।কমিটির কার্যপরিধি নির্ধারণ করতে ২৭-২৮ জুলাই দুই দিনব্যাপী একটি আবাসিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা জাতীয়করণের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।

কর্মশালায় বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,জাতীয়করণ একটি চলমান প্রক্রিয়া,সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে।শিক্ষকদের একটি অংশ আন্দোলনের নামে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি সাধন করছেন,যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি কর্মশালার মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের বিষয়ে গঠিত দুটি কমিটির কার্যপরিধির একটি রূপরেখা বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কর্মশালায় বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ,বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতি,স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ,বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন,বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ,বদলিপ্রত্যাশী এমপিওভুক্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষক কমিটি,বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি,শিক্ষক সমিতি কর্মচারী ফেডারেশন,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান),বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি,বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম,বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম,বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছীন,বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

আরও খবর

Sponsered content