প্রতিনিধি ২৫ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:৩৬:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন,গরুর মাংস আমদানি করে দেশের খামারিদের লোকসানের মুখে ঠেলে দেয়া হবে না।জনগণের সিন্ডিকেট হলে আর কোনো সিন্ডিকেট পাত্তা পাবে না।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ভোক্তা-অধিকার নিয়ে সচেতনতা শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
গরুরি মাংস আমদানি করা বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,
স্থানীয় খামারীদের স্বার্থ বিবেচনায় মাংস আমদানির পরিকল্পনা সরকারের নেই।মাংস আমদানি করলে দেশের মানুষকে কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকায় খাওয়ানো সম্ভব। কিন্তু আমরা সবসময় দেশের খামারিদের কথা ভেবেছি যে তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক।
তিনি বলেন,আগে কোরবানীর অর্ধেক গরু ভারত থেকে আমদানি করতে হতো।কিন্তু বর্তমানে একটি গরুও আমদানি করতে হয় না,বরং উদ্বৃত্ত থাকে।এ খাতে অনেক নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে।অনেকে চাকরি না করে গরুর খামার দিচ্ছে। দেশের খামারিদের কথা বিবেচনায় আপাতত আমরা মাংস আমদানি করতে চাই না।
তিনি আরও বলেন,আলুর উৎপাদনের সঠিক হিসাব কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসছে না।
চিনির দাম নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,৪২ টাকার শুল্ক কমানোর পর কেজিপ্রতি ১ টাকা ৫ পয়সা থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত চিনির দাম কমার কথা ছিল।কিন্তু ডলারের দাম আবার বাড়ায় তা সম্ভব হয়নি।
ভোক্তা আইন নিয়ে তিনি বলেন,ভোক্তারা যেন জানে এটি তাদের অধিকার।মানুষ এই আইন সম্পর্কে কম জানে। জনগণ নিজের অধিকার সম্পর্কে জানলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
জনগণের সিন্ডিকেট হলে আর কোনো সিন্ডিকেট পাত্তা পাবে না বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার কারণেই এতদিন ডিমের দাম কমেনি।’
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন,দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কিছুদিন আগে পার্লামেন্টে আমাকে খুব ধোলাই করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা,আগানগর ও রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে,এক মাসের ব্যবধানে এলাকাভেদে গরুর মাংসের দাম কমেছে কেজিতে দেড় থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমে রাজধানীতে এলাকাভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়।