প্রতিনিধি ৭ জুলাই ২০২৪ , ৪:৪৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।আগামী বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হবে।সেখানে তাঁদের সঙ্গে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলও থাকবে।এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

আজ রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান।আগামীকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন। ১১ জুলাই দুপুরে তাঁর দেশে ফেরার কথা।এই সফর উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত,বাণিজ্য ও বিনিয়োগ,ডিজিটাল ইকোনমি,অবকাঠামোগত উন্নয়ন,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা,৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতু নির্মাণ,বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,পিপল টু পিপল সংযোগ প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিস্তা নিয়ে চীনের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন,তিস্তা বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের যৌথ নদী। তিস্তা নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ভারত একটি প্রস্তাব দিয়েছে।তারা একটি কারিগরি দল পাঠাবে বলে আমাদের জানিয়েছে।বাংলাদেশে এসে ওই কারিগরি দল যৌথভাবে সমীক্ষা করে কী করা উচিত,সে ব্যাপারে পরামর্শ দেবে।যেহেতু দুই দেশের যৌথ নদী এবং যাদের সঙ্গে যৌথ নদী,তাদের প্রস্তাব আছে,সুতরাং আমাদের সেই প্রস্তাব বিবেচনা করতে হবে।চীনও এ ক্ষেত্রে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি ভালো।যেহেতু ভারত প্রস্তাব দিয়েছে,আমরা মনে করি সেটি ভালো দিক।তারা (চীন) যদি আলোচনায় আনে,তাহলে তো আলোচনা হবে।’
চীন থেকে বাজেট–সহায়তা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,বাজেট–সহায়তা নয়,বরং চীনের সঙ্গে ব্যবসা ও অর্থনৈতিক খাতে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ সহযোগিতার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।
মোংলা বন্দর উন্নয়নের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,‘মোংলা বন্দর উন্নয়নের বিষয়ে চীনের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি।এই সফরে আশা করছি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হবে।’ দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে।দেশটি থেকে আমরা আমদানি করছি বেশি, রপ্তানি কম হয়। আমাদের পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’

















