আন্তর্জাতিক

চীনা দম্পতির চেহারার সঙ্গে সন্তানের চেহারার সঙ্গে কোনো মিল ছিল না-অতঃপর:-

  প্রতিনিধি ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:১০:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।সম্প্রতি ‘অসুন্দর’ বলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন চীনের এক নাগরিক।প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে তার স্ত্রী আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী হয়েছিলেন অভিযোগ করেন জিয়াং ফেং নামের চীনা নাগরিক।এমনকি এই চীনা দম্পতির চেহারার সঙ্গে সন্তানের চেহারার সঙ্গে কোনো মিল ছিল না।এতে চটে যান স্বামী।পরে ক্ষুব্ধ ওই চীনা নাগরিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। সঙ্গে পেয়েছেন মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণও।

জানা যায়, জিয়াং ফেং উত্তর চীনের বাসিন্দা। সম্প্রতি স্ত্রী ‘কুৎসিত’ অভিযোগ তুলে বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন। আদালত মামলার রায়ও দিয়েছেন।সেখানে প্রতারণার দায়ে স্বামী জিয়াংকে ৭৫ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জিয়াং ফেং জানান,বিয়ের পর নাকি সব ঠিকঠাকই ছিল। সুখেই কাটছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। তবে সমস্যা শুরু হয় মেয়ে জন্ম নেওয়ার পর।মেয়ের চেহারা ‘কুৎসিত’ হওয়ায় মনের মধ্যে সন্দেহ বাসা বাধে।কারণ মেয়ের চেহারার সঙ্গে বাবা বা মা কারও চেহারার মিল পাওয়া যায়নি।

এতে স্বামী জিয়াং খুবই রেগেছিলেন স্ত্রীর ওপর।বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগও তোলেন তিনি। তার মনে প্রশ্ন জাগে,অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল স্ত্রীর।সেই পুরুষ দেখতে ‘কুৎসিত’ হওয়ায় তার মেয়েও দেখতে ‘অসুন্দর’হয়েছে।

সন্দেহ দূর করেত সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করান ওই চীনা নাগরিক।তবে তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় ডিএনএ পরীক্ষার পর।সেখানে দেখা যায়,তারা মেয়েটির বাবা-মা।তাহলে প্রশ্ন হলো মেয়ের চেহারার সঙ্গে বাবা-মায়ের চেহারার মিল নেই কেন?

সন্দেহ দূর না হওয়ায় স্ত্রীর ওপর চাপ দিতে থাকেন জিয়াং। চাপে পরে থলের বিড়াল বাইরে আনতে বাধ্য হন স্ত্রী। সত্য প্রকাশ করে তার স্ত্রী বলেন,তাদের মেয়ে দেখতে তার মতোই হয়েছে।কারণ বিয়ের আগে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি।প্লাস্টিক সার্জারির পরে তার চেহারা বদলে যাওয়ায় এই বিপত্তি বেঁধেছে।

জিয়াংয়ের স্ত্রী জানান,বিয়ের আগেই অস্ত্রোপচার তিনি করিয়েছিলেন।এতেই ক্ষুব্ধ হন জিয়াং।প্রতারণতার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। আদালত তার অভিযোগ মেনে নেন।

বিচারক রায়ে জানান,জিয়াংয়ে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য। সে কারণে তার স্ত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আরও খবর

Sponsered content