প্রতিনিধি ২৮ জুন ২০২৩ , ৫:০১:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেছেন,ট্যানারি মালিকদের বলেছি চামড়া বিক্রেতাদের ঠকালে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়ে দেব। সরকার চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। এ জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পুলিশ প্রশাসন সবাই এক সাথে কাজ করছে।

বুধবার (২৮ জুন) দুপুরে রংপুর সাগরপাড়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,ভারতের সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার রোধসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে নজরদারি রাখবে প্রশাসন। ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।আর ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা।তবে গরুর চামড়ার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত থাকছে খাসি ও বকরির চামড়ার দাম।
তিনি বলেন,যারা কোরবানি দেয় তারা মূলত এই চামড়া বিক্রি করে না।কোরবানির চামড়া সাহায্য হিসেবে মাদ্রাসা, এতিমখানায় দেওয়া হয়।ভোক্তারা যেন চামড়ার ন্যায্য মূল্য পায় সে জন্য আমরা ঢাকায় এক সপ্তাহ চামড়া ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছি।তাই বাধ্য হয়ে তারা লবণ লাগিয়ে ৭-৮ দিন চামড়া সংরক্ষণ করবেন এতে ট্যানারি মালিকরা সুযোগটা নিতে পারবে না।এ বছর বড় গরুর চামড়া ৮’শ থেকে ৯’শ টাকা করা হয়েছে।এখন সমস্যা হচ্ছে এতে প্রায় ২’শ টাকার লবণ লাগাতে হবে।
টিপু মুনশি আরও বলেন,পাটজাত দ্রব্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা অ্যাম্বাসিগুলোতে শোকেজিং করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের পাটজাত পণ্যগুলোর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।এ ছাড়া পলিথিন পরিবেশের জন্য খারাপ,তাই বৈশ্বিকভাবে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে। আমরা আশা করছি দু-তিন বছরের মধ্যে আমাদের দেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট দু-তিন নম্বরে চলে আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,ওভার অল জিনিষপত্রের দাম বেড়েছে। কিছুটা বৈশ্বিক কারণে,কিছুটা সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের কারণে। সরকার জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সবজির যে দাম বেড়েছে,তা কমে আসবে।কোরবানির পশু পরিবহনের কারণে সবজির পরিবহনের সমস্যা,যার কারণে দাম বেড়েছে।

















