সারাদেশ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা মামলায় চন্দন ও রিপন দাসের ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

  প্রতিনিধি ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১:৪৩:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।চট্টগ্রামে সাইফুল ইসলাম নামের এক আইনজীবীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার মামলার গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁরা হলেন চন্দন দাস ও রিপন দাস।আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, কোতোয়ালি থানা-পুলিশ দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে।শুনানি শেষে আদালত আসামি চন্দন দাসের ৭ দিন এবং রিপন দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।মাথায় হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা ছিলেন চন্দন ও রিপন।আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন।বন্ধের দিন আদালতে বিচার প্রার্থীদের আনাগোনা না থাকলেও দুই আসামিকে হাজির নিয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়।দুজনই চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি সেবক কলোনি ও পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দা।

গত বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে চন্দনকে আর রিপনকে জেলার আনোয়ারা থেকে পর দিন গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে,আইনজীবী হত্যার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় মাথায় ছাই রঙের হেলমেট,কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট পরা ছিলেন চন্দন।হাতে ছিল কিরিচ।ঘটনার সময় রিপনের হাতে ছিল বঁটি।পরনে ছিল নীল রঙের গেঞ্জি, জিনস প্যান্ট ও মাথায় লাল হেলমেট।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে ঘিরে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা,কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা,ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬ মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগ্রহ করা ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব আর পেটাতে থাকেন অন্যরা।সেখানে আরও ২৫-৩০ জন ছিলেন।তাঁদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

আরও খবর

Sponsered content