সারাদেশ

চট্টগ্রামের সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের দুইটি মামলা

  প্রতিনিধি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৪:২৬:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।।ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকাশ্যে মারধরের হুমকি দেওয়া চট্টগ্রামের সেই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এরমধ্যে একটি মামলায় বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরীর (৫৬) পাশাপাশি তার স্ত্রী সাহেদা বেগম নূরীকেও (৪১) আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।মামলা দুটির এজাহার আজ (রোববার) চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. আতিকুল আলম।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়,আসামি মুজিবুল হক চৌধুরী জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর অর্জন করে ভোগ-দখলে রেখেছেন।এটি দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এছাড়া,অন্য মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়,মুজিবুলের স্ত্রী সাহেদা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৭ টাকার সম্পদ উপার্জন করে ভোগ-দখলে রেখেছেন।এটি দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দ্বিতীয় মামলায় স্ত্রীর নামে অবৈধ সম্পদ উপার্জনে সহযোগিতা করায় মুজিবুলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১০৯ ধারার অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়।

জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর বাঁশখালীর এক জনসভায় মুজিবুল হক চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন।ওই সমাবেশে তিনি বলেছিলেন,পিটার হাস বলছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। পিটার হাস আমরা আপনাকে ভয় পাই না।আমরা মোটা চালের ভাত খাই।আপনি বিএনপির ভগবান।কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ ইমান বেচি না।আপনাকে এমন মারা মারব,বাঙালি কত দুষ্টু তখন বুঝতে পারবেন।

এই অভিযোগে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে এবং ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালতে আলাদা মামলার আবেদন করা হয়। তবে দুইবারই মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ২৮ মে চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময় ইভিএম নিয়ে মুজিবুলের বিতর্কিত মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।সে সময় হ্যান্ডমাইকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘রিকশায় করে বা যেভাবে পারেন এসে ভোট দিন। কারণ ইভিএমে ভোট।ইভিএম না হলে সব সিল আমিই মেরে দিতাম,কাউকে খুঁজতাম না।কথা বোঝেননি,ইভিএমে আইডি কার্ড না ঢুকালে ভোট হয় না।হলে ভোট আমি রাতেই নিয়ে নিতাম।তাই আপনাদের কষ্ট করে সেটি (জাতীয় পরিচয়পত্র) নিয়ে যেতে হবে।মেশিনে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হবে।আপনারা কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেবেন। ছাপ দিতে না পারলে সেখানে আমি ছাপ দেওয়ার মানুষ রাখব।আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’

আরও খবর

Sponsered content