প্রতিনিধি ২৫ নভেম্বর ২০২৩ , ৫:৪২:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।আবহাওয়া অফিস বলছে,দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে এর গতিপথ স্পষ্ট হবে।ঘূর্ণিঝড় হলে এর নাম হবে মিচাং।এই নামটি মিয়ানমারের দেওয়া।
তবে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলছেন,এটি বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানবে কি না,তা বলার অবস্থা এখনই তৈরি হয়নি।ঘূর্ণিঝড় হতে যে তাপমাত্রা থাকার কথা,সেটি এখন না থাকায় বাংলাদেশে আঘাত হানার শঙ্কা কিছুটা কম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়,সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ও ভারতীয় উপমহাদেশের ওপর সাব-ট্রপিকাল জেট স্ট্রিমের অবস্থানের প্রভাবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে ২৮ থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে।গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা ২৯ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ১ থেকে ২ তারিখের মধ্যে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকার জেলা এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানার শঙ্কাও রয়েছে এটির।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন,বর্তমানে লঘুচাপটি বাংলাদেশ উপকূল থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি উপকূলে আঘাত আনতে পাঁচ থেকে সাত দিন সময় নিতে পারে।
এদিকে এবার তুলনামূলক শীতের প্রভাব কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এবার শীতের অনুভূতি কিছুটা কম থাকবে।আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।