সারাদেশ

কাউন্সিলর শাহিনের সেচ্ছাচারিতায় বিপাকে বিসিসি

  প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২৪ , ৪:২২:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares

রবিউল ইসলাম রবি॥পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রমে বাঁধা সহ নিয়ম বর্হিভূত নগরীর পরেশ সাগর মাঠের চারপাশে মিশ্রিত মাটি ইট ও পাথরের খোয়া ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) এর ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন শিকদারের বিরুদ্ধে।

বিষয়টিতে বিসিসি ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় কর্তৃপক্ষ নীরব থাকায় স্থানীয় অনেক জনমনে জেগে উঠেছে নানা প্রশ্ন।কেউ বলছেন,পরেশ সাগর মাঠে ভবন ভাঙ্গচুরের পর অবশিষ্ট ইট, পিলার,পাথর ও মাটির টুকরো ফেলে স্থান দখল করে রেখেছে কাউন্সিলর শাহিন শিকদার।আবার কেউ বলছেন,এ সকল মিশ্র পদার্থ দিয়ে মাঠটি সংস্কার করা হলে খেলাধুলার সময় শিক্ষার্থীদের অঙ্গহানি হতে পারে।

জানতে চাইলে উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে কাউন্সিলর শাহিন শিকদার বলেন,মাটির মধ্যে মিশ্রিত ইট ও পাথরের টুকরোগুলো সরিয়ে প্রথমে মাটি দেয়ার পর বালি ফেলে পরেশ সাগর মাঠটি নিজ উদ্যাগে সংস্কার করতে চেয়েছিলাম। পরে জানতে পারলাম বিসিসি’র উদ্যাগে এই স্থানে কিছু নির্মাণ হবে।যে স্থানে বিসিসি মেয়র সাহেবের উদ্যাগে নতুন স্থাপনা নির্মিত হবে সেখানে আমার নিউ উদ্যাগে কোন কার্যক্রম থাকার প্রশ্নই উঠে না।

আর মশা নিধনের একটি ফগার মেশিন ব্যক্তিগতভাবে ২০১১ সাল থেকে ব্যবহার করে আসছেন তিনি।কতটুকু স্পেসে কি পরিমাণ ওষুধ লাগে তা জানেন।তাই কর্মীদের মশা নিধনের জন্য পরিমাণ মতই ওষুদ দিতে বলেছি।পরিমাণ মত না দিতে পারলে দেয়ার দরকার নেই বলেছিলেন বলে জানান। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বাঁধা দেয়ার প্রশ্নই উঠে না।

বিসিসি’র মশা নিধন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন,বিসিসি’র নির্দেশানুযায়ী পরিমাণ মত নগরীর সকল ওয়ার্ডে মশা নিধনের ওষুদ দেয়া হয়।কিন্তু সেখানে ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অযুক্তিকভাবে বরাদ্দের চেয়ে বেশি দাবী করেন।বিষয়টি সম্পর্কে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।

অপরদিকে,পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে বাঁধা বিঘ্ন অতিক্রম করে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ করতে হয় বলে জানান একাধিক পরিছন্ন কর্মী।নাম বললে চাকুরী থাকবে না বলে জানান ভুক্তভোগী পরিছন্ন কর্মীরা।বিসিসি’র সহকারী পরিছন্নতা কর্মকর্তা মো: ইউসুফ আলী জানান,শ্রমিকদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত তিনি কোন অভিযোগ পাননি।

পরেশ সাগর মাঠ সম্পর্কে বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে তার জানা নেই।খোঁজ নেয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে বলতে পারবেন তিনি।

বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসরাইল হোসেন বলেন,পরেশ সাগর মাঠের চারপাশে কি আছে তা জানা নেই। তবে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারকে বিসিসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পরেশ সাগর মাঠ সংলগ্ন স্থানে সৌন্দর্য বর্ধন কার্যক্রমের উদ্যাগ নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

পরেশ সাগর মাঠের পাশে থাকা শিক্ষার্থী রাসেল,চঞ্চল , রাব্বী,সজল,আয়নাল ও নয়নসহ ১০/১২ জনে জানান, এই মাঠে চারপাশে এখন ইট মাটি ও পাথরে খানাখন্দে ভরা। জনপ্রিয় খেলার মাঠটি এখন আর খেলার উপযোগী নেই। শুনেছি,মাঠটি সংষ্কারের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল।তারপর কি হয়েছে জানি না।কিন্তু এই সব মিশ্রিত পদার্থ দিয়ে মাঠটি সংস্কার করা হবে কিনা তাও জানি না। যদি করা হয় তাহলে মাঠে খেলাধুলা করা অসম্ভব হয়ে উঠবে।

0Shares

আরও খবর

Sponsered content

0 Shares