প্রতিনিধি ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১:৫৫:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,এবার বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করতে পারবে না।এতে জনগণের জীবন বাঁচবে।অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আওয়ামী লীগেরও চাওয়া।কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে,সে ক্ষেত্রে এই দেশের জনগণ ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন,মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণায় বিরোধীদের কথাও বলা হয়েছে।কে নিষেধাজ্ঞা দিল আর কে দিল না,তাতে কিছু যায় আসে না।আমার ছেলেও এখানে আছে।সে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে,বিয়ে করেছে,তার মেয়ে আছে,সম্পত্তি আছে, বাড়িঘর আছে। যদি বাতিল করে, করবে। তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের বাংলাদেশ তো আছেই।
তিনি বলেন,যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে,তাদের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে।ভিসানীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে কিছু বলার নেই।কারও শক্তিতে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি। জনগণের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় এসেছি এবং আছি।
তিনি আরও বলেন,যদি তারা শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে থাকে,তা হলে আমার কিছু বলার নেই।তবে মনে রাখতে হবে আমি কিন্তু কারও শক্তিতে ক্ষমতায় আসিনি।আমি ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন,যারা ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলছে,২০০১ কিংবা সামরিক শাসকদের নির্বাচনের সময় তারা কোথায় ছিল?
শেখ হাসিনা বলেন,ট্রান্সপারেন্ট ব্যালট বাক্স,ছবিসহ ভোটার তালিকা,মানুষের মধ্যে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা— এগুলো আমরা করেছি। ‘আমার ভোট আমি দেব,যাকে খুশি তাকে দেব’— এই স্লোগান তো আমারই দেওয়া।ভোট ও ভাতের অধিকারের আন্দোলন তো আমরাই করেছি।
সরকারপ্রধান সাফ জানিয়ে দেন,ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনই একমাত্র পথ।গোলমাল করে অবৈধভাবে আসতে চাইলে শাস্তি ভোগ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন,আওয়ামী লীগ জনগণকে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করে।বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দুর্নীতি হচ্ছে না বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য,শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান,বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে,তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এতে আরও বলা হয়েছে,যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।এর মধ্যে রয়েছে— আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।