সারাদেশ

উজিরপুরে ইউপি সদস্য ও তার ছেলের তান্ডব ,আহত – ৬

  প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:৪২:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

উজিরপুর(বরিশাল)প্রতিনিধি।।বরিশালের উজিরপুরের শোলক ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদার ও তার ছেলে ফাহিম সরদারের তান্ডবে আমেরিকান প্রবাসী সহ ৩ জনের আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার বেলা ১১টায় শোলক ইউনিয়নরে ধামুরা টেম্পুষ্ট্যান্ডে বাপ ছেলে আমেরিকান প্রবাসী রাহাত,ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও জালিছ মাহামুদ রনিকে কুপিয়ে আহত করেছে।

স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা যায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমেরিকান প্রবাসী রাহাত নিজ খরচে কাংশীতে মসজিদ নির্মানের জন্য স্থানীয় মুসল্লিদের সাথে আলোচনা করার সময় কাংশী গ্রামের ইউপি সদস্য সিরাজ এর ছেলে ফাহিম, সাঈদ,সহ কিছু সন্ত্রাসীরা প্রবাসী রাহাতের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।বিষয়টি ইউপি সদস্য সিরাজ সরদারকে বুধবার সকালে জানাতে গেলে উল্টো তিনি রাহাত ও স্থানীয়দের সাথে খারাপ আচরণ করে।বিষয়টি স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যান হালিম সরদারের ছেলে চঞ্চল সরদারকে জানায়।চঞ্চল সরদার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করতে গেলে ইউপি সদস্য সিরাজ,তার ছেলে ফাহিম সরদারের সাথে বাগ বিতন্ডা শুরু হলে উভয় পক্ষের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়।

শোলক ইউনিয়নের ক্যাম্প ইনচার্জ রুহুল আমিন সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়কে শান্ত করতে চেষ্টা করেন।এ সময় ইউপি সদস্য সিরাজ ও তার ছেলে ফাহিম সরদার ইউপি চেয়ারম্যানের জামাতা রফিকুল ইসলাম ও রাহাতকে কুপিয়ে আহত করে।এ সময় কাম্পের পুলিশ ইউপি সদস্য সিরাজের দোকান থেকে ধারালো দেশীয় রামদা উদ্ধার করে।

ঘটনাটি শুনে উজিরপুর মডেল থানার ওসি জাফর আহম্মেদ ও তদন্ত ওসি তহিদুজ্জামান সোহাগ অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের আধাঘন্টা পরে শোলক ও বড়াকোঠা ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট নামক স্থানে ইউপি সদস্যের ছেলে ফাহিম সরদার দেশীয় অস্ত্র ও রামদা দিয়ে জালিছ মাহামুদ রনি(৩০) কে উপর্যপুরি কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে পালিয়ে যায়।বর্তমানে রনিকে গুরুত্বর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় আহত প্রবাসী রাহাত ও জালিছ মাহামুদ রনি পৃথক পৃথক ভাবে উজিরপুর মডেল থানায় ২টি মামলা দায়ের করেন।

আহত জালিছ মাহামুদ রনি বলেন কোথাও কোন ঝামেলা হয়েছে কিনা আমি জানতাম না হঠাৎ করে ইউপি সদস্যের ছেলে ফাহিম কি কারনে আমাকে রামদা দিয়ে কুপিয়েছে তা আমার জানা নেই।

ক্যাম্প ইনচার্জ এ.এস.আই রুহুল আমিন বলেন ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি রামদা উদ্ধার করে।অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান গ্রুপের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছে তাই আমাদেরকে ফাসানোর জন্য প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।উল্টো তারা সন্ত্রাসী হামলা করে আমাদেরকে আহত করেছেন।

উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহম্মেদ বলেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এব্যাপারে থানায় একাধিক অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content