আন্তর্জাতিক

ইরানের তৈরি নতুন ২টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্মোচিত

  প্রতিনিধি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৯:৩৮:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।ইরান শনিবার দুটি নতুন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্মোচন করেছে।রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা বলেছে,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নির্মিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী ব্যবস্থা আর্মান এবং স্বল্প উচ্চতার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আজরাখশ আজ সকালে উন্মোচন করা হয়েছে।’

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ-রেজা আশতিয়ানি এদিন অনুষ্ঠানে বলেছেন,আর্মান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ১৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে পারে এবং ১২০ কিলোমিটার দূরের তাদের লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে।

পাশাপাশি এটি একযোগে ছয়টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। অন্যদিকে আজরাখশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে একাধিক ধরণের গাড়ির ওপর স্থাপন করা সম্ভব।লক্ষ্য শনাক্ত ও ট্র্যাক করতে এটি রাডার, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ও থার্মাল সিস্টেম ব্যবহার করে।

এএফপি বলেছে,তেহরান সমর্থিত গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েল মধ্যে যুদ্ধের পঞ্চম মাসে তুমুল আঞ্চলিক উত্তেজনার সময় নতুন এ অস্ত্রের উন্মোচন হলো।

যুদ্ধের আগেও ইসরায়েল এবং ইরান ছিল অপ্রতিরোধ্য শত্রু। তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির তীব্র বিরোধিতা করে তেল আবিব। ২০২৩ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন রোধ করতে ‘বিশ্বাসযোগ্য সামরিক হুমকি’ মোকাবেলার আহ্বান জানান।
তবে তেহরান সব সময় তার পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ বলে জোর দিয়ে আসছে এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা অস্বীকার করে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে,৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলাকে ইরান স্বাগত জানিয়েছে। তবে সিরিয়া,লেবানন,ইরাক ও ইয়েমেনে থাকা তেহরান সমর্থিত সামরিক গোষ্ঠীগুলোর চালানো হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।তারা ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ও জিহাদিবিরোধী জোটের সেনাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ২৮ জানুয়ারি জর্দানের একটি ঘাঁটিতে এ রকম একটি হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন,যার ফলে ওয়াশিংটন সিরিয়া ও ইরাকে ইরানপন্থী লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে পাল্টাহামলা চালায়।

এ ছাড়া বাণিজ্যিক জাহাজে ক্রমাগত আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতিদের বিরুদ্ধে বারবার হামলা চালিয়েছে।

হুতিরা বলছে,লোহিত সাগরে হামলা চালিয়ে তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে।

আরও খবর

Sponsered content