প্রতিনিধি ৩১ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৪০:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বিদেশ থেকে যে বিবৃতি এসেছে,তাতে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ থাকায় এর উদ্দেশ্যে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, “এর সাথে বাংলাদেশে অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের যোগসূত্র কোথায়? ইউনূস সাহেবের বিষয়টি ট্যাক্স ফাঁকি ও গরিবের অর্থ আত্মসাৎ।এর সঙ্গে একই বিবৃতিতে নির্বাচনের বিষয়টি আসবে কেন?
“দেশে দেশে নির্বাচন হচ্ছে।আমরা এও তো দেখেছি- দুটি ডেমোক্রেসি কনফারেন্সে যাদের রাষ্ট্রীয় বা রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের গ-ও নাই,তারাও দেখলাম ইনভাইটেড।গণতন্ত্রের সম্মেলনে গণতন্ত্র বিরোধীরা অনেকেই আমন্ত্রণ পেল। পাকিস্তান গণতন্ত্রের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা না; তারপরও পাকিস্তানও দুই দুইবার গণতন্ত্রের সম্মেলনে আমন্ত্রিত।”
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের আয়োজনে সমাবেশের আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকালে মাঠ পরিদর্শন করতে গিয়ে কাদের এ কথা বলেন।
ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি পাঠান বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি,যাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলবিজয়ী রয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই বিবৃতির দুইটা পার্ট আছে; একটা পার্ট হচ্ছে তার (ইউনূস) বিরুদ্ধে যত মামলা- সব স্থগিত করে দিতে হবে। মানবিক কারণেও না।স্থগিত করে দিতে হবে।এই স্পেসটা কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার লেগেছে। যে স্পেসে বিবৃতি এসেছে পত্রিকাতে,সেখানে এই টাকা খরচ হয়েছে।তিনি এ রকম বহু খরচই করেন,যেগুলো তার আয়ের সাথে ব্যয়ের কোনো সংগতি আমরা দেখতে পাই না।
“শ্রমিকরা এখানে মামলা করেছে,আওয়ামী লীগ করেনি; যাদের অর্থ আত্মসাৎ করেছে এবং ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার কারণে মামলা। এখন আমাদের দেশে কি কোনো আইনের শাসন বিচার ব্যবস্থা নেই যে-কেউ এই ধরনের কর্মকাণ্ড করলে এ নিয়ে মামলা হবে না? এই ধরনের অভিযোগের বিচার হবে না? কেন এটা স্থগিত করতে হবে?”
কোনো নোবেলজয়ী যদি অপরাধ করেন,তিনি কি পার পেয়ে যাবেন- এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যদি এ নিয়ে তাদের কোনো সংশয় থাকে,তাহলে অভিজ্ঞ বা এক্সপার্ট পাঠাতে পারেন বাংলাদেশে, তদন্ত করুক। তথ্যউপাত্ত বের করুক,এর মধ্যে কী আছে? মামলা জাস্টিফাইড কি না? এটা করতে পারে।
“কিন্তু মামলা স্থগিত করতে হবে,এটা কোন আইন? এত বড় বড় নেতা নোবেলজয়ীরা অপরাধ করে থাকলে তিনি কি পার পেয়ে যাবেন?”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ট্রাম্পের (যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেস্ট) বিরুদ্ধে চারটা মামলা হয়েছে। সিএনএনের বক্তব্য- যত মামলা হচ্ছে,ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে। গণতন্ত্রের এসব বিষয় আনতে গেলে…আমাদের নির্বাচন আমাদের সংবিধান অনুযায়ী।আমরা বলেছি,অবাধ নির্বাচন আমাদের লক্ষ্য এটা আমাদের কমিটমেন্ট।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা বারবার বলেছে।”