সারাদেশ

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি!

  প্রতিনিধি ৩০ আগস্ট ২০২৩ , ৪:১৫:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মুরাদনগর(কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দীন ভূঁইয়া জনি জানান,পানি সরানাের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রয়োজন।পাশাপাশি নলকূপ স্থাপন জরুরি।

কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের যশমন্তপুর গ্রামে দেখা যায় জলাবদ্ধতার এমন দৃশ্য।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছরের মে মাসে ওই গ্রামে গৃহহীনদের মধ্যে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়।

ওই ঘরের বাসিন্দা এক যুবক তাদের সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন,দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছি।নিচু জমিতে ঘরগুলা নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে ঘর তলিয়ে যায়।এমন অবস্থায় পয়ঃনিষ্কাশন ও খাবার পানির সংকটে ভুগছি সবাই।’

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পর অর্থায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে দ্বিতীয় পর্যায়ে যশমন্তপুর গ্রামের খাসজমিতে গৃহহীনদের জন্য ৩৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়।চলতি বছরের মে মাসে ঘরগুলাে হস্তান্তর করা হয়।

রাস্তা থেকে নিচু এলাকায় নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে ঘরগুলাে ডুব যাচ্ছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মনি রানী,ধীরেন্দ্র দেবনাথ, হেলনা বেগম ও শােভা আক্তার জানান,প্রধানমন্ত্রী তাদের থাকার জন্য ঘর দিয়েছেন।ঘর পেয়ে আনন্দিত হলেও মাস না পার হতেই এখন পানিবন্দি তারা।

তারা জানান, বেশি সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া ও টয়লেটের ক্ষেত্রে।এ ছাড়াও শিশুদের পানিতে ডুবে যাওয়া ও পানিবাহিত রোগ সংক্রমণের শঙ্কাও আছে।এসব সমস্যার কারণে ইতোমধ্যে কয়েকটি পরিবার অন্য জায়গায় চলে গেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সােহেল রানা বলেন,ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় আর নিচু এলাকায় ঘর নির্মাণ করায় আশ্রয়ণ প্রকল্পর ৩৬টি পরিবার দীর্ঘদিন পানিবন্দি।টিউবওয়েল না থাকার কারণে বিশুদ্ধ পানিরও সংকট আছে।’

রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গােলাম কিবরিয়া খােকন বলেন,তারা যে দুর্ভাগে আছে ঘটনাটি সত্য। এ সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দীন ভূঁইয়া জনি জানান,পানি সরানাের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রয়োজন।পাশাপাশি নলকূপ স্থাপন জরুরি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

আরও খবর

Sponsered content