প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২৩ , ৪:৫১:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমরা সবাই কী বিএ অনার্স, মাস্টার্স করব? আমাদের বোধ হয় একটু ভাববার সময় এসেছে।আমাদের কিন্তু জনসংখ্যার দেশ ও ভৌগোলিকভাবে খুব ছোট। আমরা আমাদের দেশের ভেতরে কাজের ব্যবস্থা করতে পারব, শিক্ষার্থীদের কোথায় পাঠাতে পারব,কী কী পেশায় পাঠাতে পারবো,কোন কোন বৃত্তিতে তাদের সুযোগ থাকবে এসব হিসাব-নিকেশ করেই আমাদের এ পথে এগোনো ভালো। ’
আজ সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসিবি) আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশের সব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছেন।কেউ বলতে পারেন, তাহলে আপনি একদিকে বলছেন আমরা অনার্স,মাস্টার্স সবাই করব কি না,আরেকদিকে প্রতি জেলায়-জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়,এ দুটো সাংঘর্ষিক নয়।আমাদের এখন যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে, তার মধ্যে যেগুলো বড় বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে আছে,সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিকে তাকালে বোঝা যাবে,আমাদের সব জায়গায় যা আছে আমাদের ধারণক্ষমতা এক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার চেয়ে কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। সেই কারণে কিন্তু আমাদের অনেক সমস্যা এবং সমস্যাগুলো যেন না থাকে।
জেলায় জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার এটাই উদ্যোগ। ’
তিনি বলেন,আমার এই বাংলার মাটিতে যে সংস্কৃতি আছে, আমার যে ইতিহাস আছে,আমার যে ঐতিহ্য আছে,আমার যে কৃষ্টি আছে,আমার যে সাহিত্য আছে তার সবকিছু যদি আমি আত্মস্থ করতে পারি,আমি যদি কায়মনোবাক্যে বাঙালি হতে পারি,আমি যদি শাশ্বত বাঙালি হতে পারি, আমি যদি আমার ত্যাগের ইতিহাস, আমার সংগ্রামের ইতিহাস,আমার স্বাধীনতার ইতিহাস তাকে যদি আমি হৃদয়ঙ্গম করতে পারি, তাকে যদি ধারণ করতে পারি,তাহলে সেই আত্মশক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমি বিশ্বমানব হতে পারব। ’
‘আমাদের শিক্ষার্থীকে তার ইতিহাস জানতে হবে এবং সেই ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস,বাংলার ইতিহাস,আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস।শিক্ষা,জ্ঞান,অভিজ্ঞতা এগুলো কোনো গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকে না।
আমরা এখন বলি জীবনভর শিক্ষা। আর সেই শিক্ষা অর্জন করে আপনারা জীবনে সাফল্য অর্জন করবেন এটাই প্রত্যাশা ‘
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফজলে ইলাহী। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।