প্রতিনিধি ৮ জুন ২০২৩ , ৫:৪১:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।।মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসার ১০ ছাত্রীকে মারধর ও মলমূত্র খাইয়ে নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সি এম রেজাউল করিমকে প্রধান করে এ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক মিলন,উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শারমিন জাহান।
কৃষি কর্মকর্তা সি এম রেজাউল করিম বলেন,তদন্ত করে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,আমতলী পৌর শহরের মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১০ ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অপবাদ দিয়ে শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম মারধর করেন।পরে তাসলিমা বেগম,তাঁর স্বামী আব্দুর রশিদ,ছেলে তাইয়েবা ও মেয়ে নুসরাত ওই ১০ ছাত্রীকে মলমূত্র,ড্রেনের পচা পানি,হাঁসের মল বালতিতে মিশিয়ে জোরপূর্বক খাইয়ে দেন।
গত সোমবার এ ঘটনায় “মাদ্রাসার ১০ ছাত্রীকে মারধর ও মলমূত্র খাইয়ে নির্যাতন” শিরোনামে সংবাদ পত্রিকায় প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।এতে স্থানীয়রাসহ প্রশাসনিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়।বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ আশরাফুল আলম উপজেলা কৃষি অফিসার সি এম রেজাউল করিমকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

















