ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

অস্ট্রেলিয়ান ‘ব্ল্যাক অস্ট্রালপ’ মুরগি বছরে কমপক্ষে ২৫০ দিন একটি করে ডিম দেয়

  প্রতিনিধি ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৩:০৩:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।প্রাণিজ প্রোটিনের উৎস হিসেবে অনেকেই প্রথমে ডিমকে বেছে নিতে পছন্দ করেন।কিন্তু বাজারে ব্রয়লার মুরগির ভিড়ে এখন পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম পাওয়া অনেকটা দুঃসাধ্য।

তবে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে দেশে নতুন পরিচিত অস্ট্রেলিয়ান ‘ব্ল্যাক অস্ট্রালপ’ মুরগি পালনে। এ জাতের প্রতিটি মুরগি এক বছরে কমপক্ষে ২৫০টি ডিম দিয়ে থাকে।
শুধু বেশি ডিম দেয় তাই নয়; এ মুরগি ভালো আয়ের উৎসও বটে। দেশীয় মুরগির তুলনায় এর দাম অনেক বেশি।

লালন পালন করা যায় দেশি মুরগির মতোই ছেড়ে দেওয়া অবস্থায় বা খামার পদ্ধতিতে।

হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তাগনগর এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান রিপনের শখের খামারে ‘ব্লাক অস্ট্রালাপ’ জাতের ১৫টি মুরগি রয়েছে।এ খামারটি দেখে আরও লোকজন এ জাতীয় মুরগি পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

রিপন বলেন, তার ‘ব্ল্যাক অস্ট্রালাপ’ জাতের ১৫টি মুরগি রয়েছে।পাঁচ মাস বয়স থেকে মুরগি ডিম দেওয়া শুরু করে । প্রতিটি মুরগি বছরে কমপক্ষে ২৫০ দিন একটি করে ডিম দেয়।একেকটি মোরগ বিক্রি হয়ে থাকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকায়।ওজন হয় দুই থেকে তিন কেজি।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্ল্যাক অস্ট্রালাপ’ জাতের মুরগির দাম বেশি এবং অধিক ডিম দিলেও এর জন্য আলাদা কোনো যত্ন করতে হয় না।লালন পালন করা যায় দেশি মুরগির মতোই ছেড়ে দেওয়া অবস্থায় বা খামার পদ্ধতিতে।

‘ব্ল্যাক অস্ট্রালপ’ মুরগির তেমন বিশেষ কোনো রোগ বালাই নেই। সাধারণ মুরগির মতোই রোগ বালাই দেখা দিতে পারে। ভারী জাত হওয়াতে তাদের হিট স্ট্রোক প্রবণতা বেশি। গরমকালে এ বিষয়টা লক্ষ্য রাখা দরকার।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন,আমাদের ‘ব্ল্যাক অস্ট্রালপ’ মুরগি নতুন পরিচিত হলেও উপমহাদেশে তাদের প্রাচীন অস্তিত্ব বিদ্যমান। অস্ট্রেলিয়ার একটি ডুয়াল পারপাজ মুরগির জাত এটি। আমাদের দেশীয় মুরগি সাধারণত বছরে ৪০টি ডিম দিয়ে থাকে।এ অবস্থায় গ্রামীণ পরিবেশে এ মুরগির পালন বাড়ানো গেলে দেশীয় মুরগির ডিমের সংকট মেটানো যেতে পারে।

তিনি বলেন,এ মুরগি সাধারণত কালো হয়ে থাকে।তবে আমাদের দেশীয় মুরগির সংমিশ্রণে তাদের বিভিন্ন রঙ হয়ে থাকতে পারে।

আরও খবর

Sponsered content