সারাদেশ

অবরোধের দ্বিতীয় দিনও দূরপাল্লার বাস চলছে ঢিলেঢালাভাবে

  প্রতিনিধি ১ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:১৯:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলোর টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন আজ।তবে নগরীতে যান চলাচল রয়েছে সীমিত।দূরপাল্লার যান চলাচল নেই বললেই চলে।বেশির ভাগ বাস কাউন্টারই বন্ধ রয়েছে। আর যেসব কাউন্টার খোলা,সেখানে নেই যাত্রী।

বুধবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা গেছে পরিবহনের এমন চিত্র।

প্রথম দিনের মতো অবরোধের দ্বিতীয় দিনও দূরপাল্লার বাস চলছে ঢিলেঢালাভাবে।আর নগরীর রাস্তায়ও বাস চলছে সীমিত আকারে।একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢাকার বাইরে যাচ্ছে না। তাই যাত্রী সংকটে রয়েছে দূরপাল্লার বাসগুলো।

নেই টিকিট বিক্রেতাদের হাক ডাক,নেই কোনও যাত্রী
গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে সুনসান নিরবতা।দিন-রাত যেখানে মানুষের উপস্থিতিতে গমগমে থাকে সব সময়, সেখানে আজ যেন মানুষশূন্য হয়ে উঠেছে।নেই টিকিট বিক্রেতাদের হাক ডাক,নেই কোনও যাত্রী।কাউন্টারগুলোও বন্ধ,যারা খুলেছেন,তারা নিজেদের মধ্যেই আড্ডায় বসেছেন৷ এ সময় বাস চলাচল নিয়ে কথা হয় বিভিন্ন বাস কাউন্টারের কর্মীদের সঙ্গে।

রোজিনা রয়েল ক্লাসিকের মাস্টার মো. মাসুদ রানা বলেন, আমরা গতকাল কোনও গাড়ি ছাড়িনি।আজ এখন পর্যন্ত (১২টা ৩০ মিনিট) কোনও গাড়ি ছাড়িনি।দেখবো দক্ষিনবঙ্গের রুটের কেউ যদি গাড়ি ছাড়ে,তাহলে ছাড়তে পারি।

শ্যামলী এন আর পরিবহনের মাস্টার পার্থ বলেন,গতকাল সকালে একটি বাস গাইবান্ধা গিয়েছিল।আর রাতে আমাদের চারটি বাস ঢাকার ছাড়ে।বাসগুলো রংপুর,নওগাঁ,বাওলাগঞ্জ ও দিনাজপুর গিয়েছে। কিন্তু আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনও গাড়ি ছাড়া হয়নি।

গতকাল ছাড়লে আজ কেন ছাড়েননি,জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি শিওর বলতে পারছি না।সুপারভাইজার বলেছে সকালে গাইবান্ধা যাওয়ার পথে বাস আন্দোলনের মুখে পড়ে। তাই আর আজ বাস ছাড়েননি মালিক।

তিনি বলেন,মালিকপক্ষ বলেছে কাউন্টার খোলা রাখতে। তাই খোলা রেখেছি।খোলা রেখেছি ঠিকই,কিন্তু কোনও যাত্রী টিকিট কাটতে আসেনি।

সাতক্ষীরা লাইনসের তানজিল বলেন,গতকাল রাতে আমাদের চারটা গাড়ি সাতক্ষীরায় গিয়েছে।আজ এখন পর্যন্ত কোনও গাড়ি ছাড়তে পারিনি।যাত্রী নেই গাড়ি ছাড়বো কীভাবে?একটি গাড়ি ছেড়ে সাতক্ষীরা গেলে ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকা খরচ হয়।তো সে খরচ যদি না ওঠে,তাহলে কীভাবে গাড়ি ছাড়বো?

এম আর এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রঞ্জন বলেন,গতকাল রাতে আমাদের দুটি গাড়ি শ্যামনগর যায়।একটায় ৩০ জন, আরেকটায় ১৮ জন যাত্রী হয়।আজ এখন পর্যন্ত পাঁচ জন আমাদের বুক দিয়েছে। দেখি যেতে পারি কিনা।

শ্যামনগরের বাসিন্দা মঞ্জিলা ঢাকায় এসেছিলেন দেশের বাইরে যাবেন,তার ফিঙারপ্রিন্ট দিতে।ঢাকায় তার থাকার জায়গা নেই,তাই আজই তাকে ফিরে যেতে হবে।তিনি বলেন,আমার যদি থাকার জায়গা থাকতো,তাহলে হয়তো দু-এক দিন পরে যেতাম। এই অবরোধের মধ্যে যেতাম না।

ঢাকা-পাটুরিয়া রুটের সেলফী পরিবহনের চালক আশিক বলেন,আমি সকালে একটা ট্রিপ নিয়ে আসছি ঢাকায়,এখন আবার যাবো আরেক ট্রিপ নিয়ে।আসার সময় বাস পুরোপুরি ভরেনি।যাওয়ার সময় পুরা ফুল হয়ে যাচ্ছে।গতকালও এমনই অবস্থা হয়েছিল।গতকাল রাতে অনেক মানুষ ঘাটে (পাটুরিয়া) গিয়েছে। ঢাকা আস্তে আস্তে খালি হচ্ছে।

এ সময় গাবতলী বাস টার্মিনালের ডিপোতে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি বাস রাখা।যাত্রী সংকটে যেতে পারছে না বাসগুলো।

আরও খবর

Sponsered content