অপরাধ-আইন-আদালত

অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় রিমান্ড শেষে তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী কারাগারে

  প্রতিনিধি ২০ মার্চ ২০২৪ , ৫:১১:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় রিমান্ড শেষে তার সহপাঠী রায়হান আম্মান সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে আম্মানকে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হয়।এ সময় বিচারক আবু বক্কর সিদ্দিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম হীরা জানান।

এর আগে বেলা ১টার দিকে একটি কালো মাইক্রোবাসে করে পুলিশের প্রায় দশ সদস্যের একটি দল আম্মানকে আদালতে নিয়ে আসেন।এ সময় তার মুখে মাস্ক ছিল।তবে আগের মতো হেলমেট ছিলো না।

এ মামলার আরেক আসামি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।

একদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দুপুরে দ্বীনকে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আবু বক্কর সিদ্দিক তাকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দ্বীন ইসলাম ও রায়হান আম্মান সিদ্দিকী বর্তমানে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম হীরা জানিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস বলেন, “রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে দুজনই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আমরা সেগুলো ক্রসচেক (যাচাই-বাছাই) করে দেখছি।

“প্রয়োজনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমান্ডের আবদেন করা হতে পারে।আমরা মামলাটির গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।“

কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাসায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা।

এর আগে নিজের ফেইসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তার এমন মৃত্যুর জন্য সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন।

অভিযোগে অবন্তিকা লিখে গেছেন,“আম্মান তাকে অনলাইন ও অফলাইনে হুমকি দিতেন।এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টরকে অভিযোগ দেওয়ার পর তিনিও হুমকি ধমকি দিয়েছেন।”

এ ঘটনায় আম্মান ও দ্বীনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।এতে দুজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়।

রাতেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

পরে রোববার রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে দুইজনকে কুমিল্লায় নিয়ে আসেন।

পরে সোমবার আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানের পাঁচ দিন এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রায়হান আম্মান সিদ্দীকের দুই দিন এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের এক দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে শনিবার সকালে রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে বহিষ্কার এবং দ্বীন ইসলামকে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন দ্বীন।

আরও খবর

Sponsered content