শিক্ষা

অনুমতি না নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা দুই শিক্ষক বরখাস্ত

  প্রতিনিধি ৩১ আগস্ট ২০২৩ , ৬:১৩:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

যশোর জেলা প্রতিনিধি।।অনুমতি না নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ যশোরের চৌগাছা উপজেলার তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।চলতি আগস্ট মাসে তাদের তিনজনকে পর্যায়ক্রমে চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়।

তারা হলেন বিধি বহির্ভূতভাবে মেডিকেল ছুটি নিয়ে চীনে অবস্থান করা চৌগাছার মাজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন সুলতানা জিনিয়া,মেডিকেল ছুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা উপজেলার বড়খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিশাত মুনাওয়ারা ও উপজেলার কংশারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারহানা সাত্তার।

গতকাল বুধবার গুরুদণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় উপজেলার বড়খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিশাত মুনাওয়ারাকে।বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে ওই বরখাস্তের অফিস আদেশ এসে পৌঁছায়।

তিনি ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর চিকিৎসা ছুটির আবেদন করে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়ে বসবাস করেন। গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।এরপর ১৬ মার্চ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। সব প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর ৩০ আগস্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তাকে ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন।


এর আগে গত ২ আগস্ট গুরুদণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় কংশারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফারহানা সাত্তারকে।তিনি ২০২২ সালে যশোর পিটিআইয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণে ভর্তি হন।এরপর একই বছরের ১২ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত পিটিআই প্রশিক্ষণে বিনাঅনুমতিতে অনুপস্থিত থাকেন।এরপর পিটিআই সুপার তার ভর্তি বাতিল করলেও তিনি বিদ্যালয়ে যোগ দেননি বা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি।এরপর চলতি বছরের ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ২ আগস্ট তাকে ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

এছাড়া উপজেলার মাজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন সুলতানা জিনিয়া চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে যোগদান করে একমাশ শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমমি ছাড়াই চীনে লেখাপড়া করতে চলে যান। পরে চীনে গিয়ে ‘ফেঁসে যাচ্ছেন’ প্রাথমিকের শিক্ষিকা শিরোনামে গত ২৭ মার্চ গনমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়।ওই সংবাদের পর অভিযুক্ত শিক্ষিকা চীন থেকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং চাকুরি থেকে ইস্তফার আবেদন করেন।তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশে গত ১ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দিয়ে ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করেন যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম।

এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ওই তিন শিক্ষক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয় এবং তাদের চাকরি থেকে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়।পরে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের দুজনকে ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং একজনের আবেদনের ভিত্তিতে তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

আরও খবর

Sponsered content