প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৭:৪৩:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ফাতেমা খাতুন।।গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যৌন উত্তেজনায় জোড় করে স্ত্রী ব্রা খুললেই স্বামী হওয়া যায় না। আমরা স্বামীর দাবি নিয়ে ব্রা খুলতে শিখেছি।
কখনো কি স্ত্রীকে বলেছি, আজ তোমার শরীরটা কেমন? সারা দিন প্রচুর খাটাখাটনি হয়েছে তাই না? আজ তোমার শরীরটা একটু টিপে দেই? শরীর ব্যর্থা কমে যাবে!
যখনই যৌন উত্তেজনা উঠে, তখনই মনে পড়ে, আমার তো একটা স্ত্রী আছে! এর আগে কখনো স্ত্রী নামক মানুষটা কথা মনে পড়েছে?
অফিসে কাজের নামে অন্যের স্ত্রী সাথে কর্পোরেট ঘষাঘষি করি। কখনো কি মনে পড়ে কেউ একজন দিন শেষে বেলকুনির গ্রিল ধরে পথ চেয়ে আছে আমার অপেক্ষায়। অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত শরীরলে, মেজাজ গরমে স্ত্রীকে বলি দুধ চিনি ভাল করে দিয়ে, তারাতারি এক কাপ চা দাও!
তখন একবারের জন্য কি মনে হয় না, এই মানুষটাও তো সারাদিন আমার মতো কামলা দিয়েছে, তার আমার মধ্যে পার্থক্য, সে ঘরে দিয়েছে আর আপনি বাহিরে দিয়েছেন!
রাতে ঘুমের ভ্যান ধরে কম্বলের নিচে মেসেঞ্জারে ডিজিটাল পরকীয়া করার সময়, ঘুমন্ত স্ত্রী কথা একবারও মনে পরে না, আপনি তার বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা নষ্ট করে তাকে ঠকাচ্ছেন?
বাকি রইলো বিয়ে! দেনমোহর আর কবুল বলেই স্বামী হওয়া যায় না। স্বামী একটি অন্ধ বিশ্বাস, ভরসাময় অস্থা।
শুধু যৌনতায়ই স্ত্রী সুখ না, ভালবাসায়ই স্ত্রী অফুরন্ত সুখ, শান্তি।
অতৃপ্তির কারনে কনডমবিহীন সঙ্গম করেন। কখন কি বলেছেন আচ্ছা তোমার প্রতিদিন একই ট্যাবলেট খেতে ভাল লাগে? আজ থেকে বেশ কিছু দিন সঙ্গম বন্ধ রাখবো, তুমি আর এই ট্যাবলেট খেও না প্লিজ! তোমার কষ্ট আমার সহ্য হয় না!খ
স্ত্রী মানেই রোবট না, স্ত্রীও আপনার মতো রক্তে মাংসে গড়া একজন মানুষ। তাকে বুঝোন, বোঝার চেষ্ঠা করুন, বোঝা উচিৎ। স্ত্রী আপনার, দায়িত্ব ও কর্তব্যের পাশাপাশি তাকে ভালবাসাটাও আপনার মহা দায়িত্ব!
আমরা স্ত্রী যৌন উত্তেজনা বাড়াতে শিখেছে! কখনো কি তাকে জিজ্ঞাস করেছে, মাসের প্রথমে অথবা শেষ তার শরীর থেকে যেই বিষাক্ত রক্তপাত হয়, তা কতটা কষ্টের ও যন্ত্রনাদায়ক? যৌনতায় ভালবাসা থাকেনা, ভালবাসা থাকে গভীর রাতে যৌন মিলন না করে স্ত্রীকে বুকে জড়িয়ে নিজের হৃদপিন্ডে ঢুকেয়ে তার কষ্টের কথা গুলো শুনার মাঝে, তাকে শান্তনার মাঝে।
ঠোটে চুম্বন করে যৌন উত্তেজনা করতে শিখেছি! কখন কি বাসা থেকে বাহির হওয়ার বা ফেরার পর স্ত্রী কপালে চুম্বন করে বলেছি এই নেও তোমার সারাদিনে আদর।
স্ত্রী যোনীতে দুই ফোঁটা বীর্জ দিলেই সন্তান আপনার দাবী করা যায় না। সন্তান প্রস্রব চলাকালীন ঘন্টার পর ঘন্টা যন্ত্রনাদায়ক সেটা উপলব্ধি করতে মাত্র দুই মিনিট মরিচের গুড়া আপনার লিঙ্গে লাগিয়ে দেখুন সন্তান প্রসব কতটা কষ্টদায়ক।
দশমাস নয়, মাত্র দশদিন, দশ কেজি ওজনের একটি পাথর আপনার পেটে বেধে দেওয়া হবে। তা নিয়ে এই দশদিন আপনি সমস্ত কাজ করতে পারলেই আপনার সন্ত্রান সেটা স্বীকৃতি পাবেন।
স্ত্রীকে ভোগ করতে না ভালোবাসতে শিখুন।
বুঝতে শিখুন যে, সে কি চায়।