প্রতিনিধি ২৭ আগস্ট ২০২২ , ২:০৫:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:-শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় প্রেমিকার মামা বাড়ি থেকে প্রেমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।:শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দিনগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ধানকাঠি গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের প্রিয়কাঠি গ্রামের আলী আফজাল খানের ছেলে সারোয়ার হোসেন কাজল (২৮)। তিনি এক কোম্পানির মেডিকেল প্রমোশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রেমিকা জানান, আমি ছোট থেকেই মামার বাড়িতে থাকি। দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত কাজলের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। শুক্রবার বিকেলে কাজল আমাকে নিয়ে মাদারীপুর ঘুরতে যায়। পরে সন্ধ্যায় আমরা মামার বাড়িতে আসি। পরে রাতে এক সঙ্গে খাবার খেতে বসি। তখন কাজল বলে, আমাকে বিয়ে করবা কবে? তাই আমি জিদ করে খাবার মাটিতে ফেলে দেই।তাই আমার সঙ্গে রাগ করে ঘরের থেকে একটি বঁটি নিয়ে হাত কেটে রক্ত বের করে। এ সময় আমার হাতে রক্ত লাগিয়ে দিয়ে কাজল বলে, আমি আত্মহত্যা করবো। পরে জেদ করে আমি বাইরে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, ৫ থেকে ১০ মিনিট পর আমি বাইরে গিয়ে দেখি, ঘরের পূর্ব পাশের জানালার সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আছে কাজল। এ সময় আমি তখন দড়িটা কেটে দেই। পরে প্রতিবেশীর সহযোগিতায় ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কাজলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহত কাজলের ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, কাজলের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক ছিল। কাজল আত্মহত্যা করে নাই। শুক্রবার রাতে ফোন দিয়ে নিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছ ওরা। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। তদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে কিভাবে মৃত্যু হলো কাজলের। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।