প্রতিনিধি ২০ মে ২০২৪ , ৪:১৭:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শান্তি প্রতিষ্ঠায় কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য দেশীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক’ নামের এই পদক পাবেন।প্রতি দুই বছর পরপর এই পদক দেওয়া হবে।প্রতিবার প্রধানত এক ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেওয়া হবে।
এই পদক দেওয়ার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা,২০২৪’–এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।নীতিমালা অনুযায়ী এই পদকের অর্থমূল্য হবে এক লাখ মার্কিন ডলার।এর সঙ্গে থাকবে ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক ও একটি সনদ।
আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিমালাটি অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, এ বছরই পদক দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে।আগামী বছর পদক দেওয়া শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবছরের ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এই পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হবে।তারপর ২৩ মে বা কাছাকাছি সময়ে সেই পুরস্কার দেওয়া হবে। ২৩ মে পদক দেওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ধরার কারণ হলো ওই তারিখে জুলিও কুরি পদক পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,এখন নীতিমালা দিয়ে কাজটি শুরু করা হবে।তবে মন্ত্রিসভা পরামর্শ দিয়েছে,এ বিষয়ে যেন আইন করা হয়।আইনের মধ্যে একটি তহবিল করতে বলা হয়েছে।যে তহবিলে সরকার বা বাইরের যে কেউ অনুদান দিতে পারবেন। পরে সেই অনুদানের টাকা থেকেই পদকের ব্যয়ভার বহন করা হবে।তবে সেটি না হওয়া পর্যন্ত সরকার এই ব্যয়ভার বহন করবে।
কারা এই পদকের জন্য প্রস্তাব করতে পারবেন,জুরিবোর্ড কীভাবে—হবে সেসব বিষয়ে নীতিমালায় ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।তবে কোনো ব্যক্তি তাঁর নিজের নাম প্রস্তাব করতে পারবেন না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
কোন কোন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই পদক দেওয়া হবে, তা উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।ক্ষেত্রগুলো হলো,বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা,যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা,দ্বন্দ্ব সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা,মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা,ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা,টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন।