অপরাধ-আইন-আদালত

পুলিশ কর্তৃক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হলে আপনার করনীয়:-

  প্রতিনিধি ৫ আগস্ট ২০২২ , ২:৫২:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:-২০১৪ সালে ঝনি নামে এক যুবক পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের ফলে মারা যায়। গত ৯/৯/২০২০ তারিখে নির্যাতনের সাথে সংশ্লিষ্ট তিনজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সেশন কোর্ট।

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে বিচার কাজ শেষ করে আদালত এ রায় প্রদান করেছেন। এই আইন অনুসারে যদি কোন পুলিশ কর্মকর্তা কোন ব্যক্তিকে তার হেফাজতে রেখে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন করে তাহলে সেই পুলিশ কর্মকর্তা এই আইন অনুসারে দোষী সাব্যস্ত হবে। এই আইনের অধীনে নির্যাতিত ব্যক্তি ছাড়াও যে কোন ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।এই আইনের অধীনে শুধু কেবল নির্যাতনের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় যদি কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে তাহলে অভিযুক্ত ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

এই আইনের অধীনে মামলা করতে হলে সরাসরি আদালতে যেতে হবে কোন থানা কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে মামলা করার কোনো বিধান নেই। আদালতই মামলা দায়েরের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এই ধরনের মামলার তদন্তভার আদালত পুলিশ এর পরিবর্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন।

এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় সকল প্রকার অপরাধ জামিন অযোগ্য এবং আপোষের কোনো সুযোগ নেই।
এই আইনের অধীনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দণ্ডাদেশ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতিপূরণের বিধান করা আছে।

২০১৩ সালে এ আইন প্রণয়ন করা হলেও এই আইনের বাস্তব প্রয়োগ খুবই কম তার প্রধান কারণ হলো এই আইন সম্বন্ধে মানুষের অজ্ঞতা এবং আরেকটি কারণ হলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বেশিরভাগ লোক অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
সুতরাং ক্ষমতা প্রয়োগের সময় পুলিশ সহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবশ্যই এই আইনের কথা মাথায় রাখতে হবে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর, অমানবিক, লাঞ্ছনাকর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ২০১৩ সালে এসে এ বিষয়ে আইন হয়েছে কিন্তু এই আইন সম্বন্ধে বেশিরভাগ লোক এমনকি আইন অঙ্গনের লোকও খুব কম জানে।

আরও খবর

Sponsered content