প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১১:৫৩:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
ডেস্ক রিপোর্ট।।ভারতের প্রথম রূপান্তরকামী সুন্দরী নাজ জোশী। দেশের বাইরে বিদেশে সাত বার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক খেতাব জিতেছেন।তবু উপার্জনের স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেই তার।
নাজ জোশী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি (এনআইএফটি)-র ছাত্রী। পোশাক ডিজাইনিংয়ে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। নিজের ব্যাচে শীর্ষ স্থান অধিকার করেন নাজ। তবে পড়াশোনার খরচ চালাতে বারে নেচেছেন। এমনকি যৌনকর্মীর কাজও করেছেন তিনি।
শিশুকালে বাবা-মা নাজকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ, তার মেয়েলি আচরণে লজ্জায় পড়তেন তারা। প্রতিবেশীদের ভয়ে মুম্বাইয়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল নাজকে। সেখানেই মানুষ হন তিনি।
নিজের খরচ বরাবর নিজেই বহন করেছেন নাজ। তার পড়াশোনার প্রবল ইচ্ছে ছিল। ১২ বছর বয়স থেকে বারে নাচছেন। মেয়েদের ন্যায় পোশাক পরতে পেরে, মেক আপ করার সুযোগ পেয়ে ভালই লাগত তার। খুব বেশি সমস্যা হতো না।
এভাবেই উপার্জন করে আইএমটি থেকে এমবিএ-ও করেছেন নাজ। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন সংক্রান্ত অস্ত্রোপচারের খরচও জোগাড় করেছিলেন নিজেই। মডেলিং এর কথা ভাবেননি। ইচ্ছে ছিল ডিজাইনার হওয়ার।
২০১২ সাল থেকে মডেলিং এজেন্সির কাজ করতে শুরু করেন নাজ। ২০১৪ সালে প্রথম সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তার সাম্প্রতিক সাফল্য এমপ্রেস আর্থের খেতাব জয়। গত মে মাসে ভারতের হয়ে এ আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন নাজ। ১ জুন সেই প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। ওই প্রতিযোগিতায় নাজ একাই ছিলেন রূপান্তরকামী।
২০২০ সালে মিস ইউনিভার্স ডাইভারসিটির খেতাব জেতেন নাজ। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পর পর তিন বার মিস ওয়ার্ল্ড ডাইভারসিটির মুকুট ওঠে তার মাথায়। এছাড়া মিস রিপাবলিক ইন্টারন্যাশনাল সৌন্দর্য রাষ্ট্রদূত হয়েছেন।
সাতটি আন্তর্জাতিক খেতাব জিতলেও ব্যক্তিগত জীবনে এখনও বেশ অসহায় নাজ। তার স্থায়ী উপার্জনের রাস্তা নেই। বহু চেষ্টা করেও ফ্যাশন ডিজাইনের টপার, আইএমটি থেকে এমবিএ করা নাজের একটি চাকরি জোটেনি।