প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০:১২:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
সাঘাটা (গাইবান্ধা) উপজেলা প্রতিনিধি।।গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের সুনামধন্য পীতাম্বর চন্দ্র (মাস্টার) বীর মুক্তিযোদ্ধার সাত সন্তানের সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান সুশীল চন্দ্র সরকার (সুশীল কুমার) গাইবান্ধা -৫ (সাঘাটা ফুলছড়ি) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা -৫ আসনে (সাঘাটা ও ফুলছড়ি) উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গণসংযোগ চালিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, তিনি বগুড়া আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় জেলা ছাত্রলীগ করেছেন এরপর ১৯৯৭- ২০১৬ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগ করেছেন। গতবার বহু চেস্টার পরেও আওয়ামীলীগের কনিটিতে যোগদান করতে পারেননি।
যদিও তিনি সাঘাটার রাজনীতিতে সক্রিয়, তবুও তাকে বগুড়া জেলা যুবলীগ শহর যুবলীগ শাখার ৬ নং ওয়ার্ডে সম্মান সূচক সহ-সভাপতি হিসাবে রেখেছে।এবার তিনি গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে প্রার্থী হিসাবে আছেন। আগামী যে কমিটি হবে তাতে তিনি ভালো পদ আশা করেন।
২০১৮ এর জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন কিনেন এবং জমা দিয়ে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
এবার তিনি শতভাগ মনোনিবেশ করেছেন এমপি পদে প্রত্যাশী হওয়ার জন্য।তিনি সাঘাটা এবং ফুলছড়ি উপজেলায় রোগী সেবায় সর্বোচ্চ স্থানে আছেন।এর পাশাপাশি তিনি অন্যান্য সেবা সহ, মন্দির,মসজিদের উন্নয়ন কল্পেও বেশ অনুদান দিয়েছেন।
তিনি দল,মত,জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সহয়তা করেন এবং উপনির্বাচনেও তিনি দল,মত,জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। তার কথা “দল করবো আওয়ামীলীগ সেবা করবো সবার”।তিনি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ।গ্রুপিং তিনি পছন্দ করেন না।
তাই তিনি গ্রুপিং এর উর্ধ্বে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাত আগামীতে আরো শক্তিশালী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
সুশীল চন্দ্র সরকার বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের উপর সংসদ টিভিতে প্রচার করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে পরিচালক হিসাবে ৪৮ মিনিটের ডকুমেন্টরী তৈরী করে সংসদে জমাও দিয়েছি। এছাড়াও আমি সংগীত শিল্পী, সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক প্রচারণার জন্য অনেক গান প্রকাশ করেছি যা সারা বাংলাদেশে এখনও অনেক সমাদৃত আছে।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত অনেক সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি এবং করে যাচ্ছি ।
চিকিৎসা সেবায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হইতে আমি সাঘাটা এবং ফুলছড়ি উপজেলায় যত অসহায় রোগীকে সর্বনিম্ন ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) সর্বোচ্চ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অনুদান যতজনকে নিয়ে দিয়েছি আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যে, গাইবান্ধা জেলার মধ্যে আমার মত এত রোগীকে কেউ সাহায্য করেননি।
আগামীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাত আরোও শক্তিশালী হয় সেই রাজনীতিতে বিশ্বাস করে আমি রাজনীতি করে যাচ্ছি । আমি সবসময় একটা কথা বলে থাকি এবং সবাই তা জানে ‘আমি রাজনীতি করবো আওয়ামীলীগের সেবা করবো সকলের’।
উপ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি সাঘাটা-ফুলছড়ি মানুষের সেবা করব।