প্রতিনিধি ৬ জুলাই ২০২২ , ১:৩৯:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:-অসুস্থতার কারণে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি। আজ বুধবার আদালতে হাজির না থাকায় আগামী ১১ আগস্ট মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।
আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক ছিল। তবে সম্রাট অসুস্থ থাকায় তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে আদালতে আনা হয়নি। এ জন্য মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন পিছিয়েছে।
গত ২৪ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সম্রাট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ মে এই মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ। একই সঙ্গে সম্রাটকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ মামলায় ১১ মে জামিন পেয়েছিলেন সম্রাট। পরে সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুদকের করা এ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন পাওয়ার আগে সম্রাট তাঁর বিরুদ্ধে থাকা আরও তিনটি মামলায় জামিন পান। চার মামলার সব কটিতেই জামিন পাওয়ায় ১১ মে বিএসএসএমইউ হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট। কারামুক্তির পর তিনি এ হাসপাতালেই চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছিলেন।
রমনা থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। আগের দিন ১০ এপ্রিল অর্থ পাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকার পৃথক দুটি আদালত থেকে সম্রাট জামিন পান।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তাঁর সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তখন র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাঁদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন।
গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় আনার পর সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। সম্রাটের কার্যালয়ে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।