প্রতিনিধি ৫ জুলাই ২০২২ , ১২:১৮:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোরের অভয়নগর উপজেলার পৌর ১ নং ওয়ার্ডের আমডাঙ্গা গ্রামে বিয়ে ছাড়া ১২বছর বয়সী মেয়েকে আটক রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঐ গ্রামের মোঃ কামরুল শেখের ছেলে সুমন শেখ(১৭), উপজেলার জিয়েডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ার গাজী প্রবাসীর মেয়ে আয়শা খাতুন(১২), কে ফুসলিয়ে বিয়ের নাটক সাজিয়ে রেখে দিয়েছে।যার সত্যতা যাচাই করার লক্ষেই সংবাদকর্মীরা বিয়ের কাগজ দেখতে চাইলে সুমনের পিতা কামরুল একটি নন জুডিশিয়াল স্টাম্পের উপর বিয়ের ঘোষণা পত্র এনে দেয় যা আইন সঙ্গত নয়।
পরবর্তীতে মেয়েটির কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে মেয়েটি ভয়ে ভয়ে জানায়,তার মা ময়না সুমনের সাথে তাকে দিয়ে পাঠিয়েছেন।কথা বলার সময় লক্ষ করা গেছে, মেয়েটির চোখে মুখে আতংকের ছাপ,সে খুব ভয়ে আছে।
এমন অবস্থায় আমাদের প্রতিবেদক মেয়েটির মা ময়না বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার মেয়ে খুবই ছোট, তাকে ওই বাড়িতে জোর করে আটক রাখা হয়েছে, আমি স্থানীয় মেম্বার সহ অনেকের সহযোগিতা চেয়েও মেয়েকে উদ্ধার করতে পারিনি।আমি কিছুদিন আগে মোবাইল ফোন কিনতে বাজারে গেলে সুমন আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় এবং ভয় ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা বলতে বাধ্য করে আটক রেখেছে।আমার স্বামী বিদেশে থাকে,তার সাথে আমি পার্সোনাল কথা বলেছি যা আমার ফোনে রেকর্ড ছিলো, সেই রেকর্ডকৃত মেমোরি সুমন চুরি করে নিয়ে গিয়েছে এবং আমাকে বিভিন্ন ভয় দেখাচ্ছে যে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার অন্য জায়গায় সম্পর্ক আছে তাই বলে এই রেকর্ডিং ভাইরাল করে দেব।এখন বলেন আমি কি করবো? মেয়ের মাকে মামলা কেন করেননি প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ভয়ে মামলা করিনি তবে আপনারা যদি সাহস দেন,আমার স্বামীর সাথে কথা বলে আইনের আশ্রয় নিব।
এবিষয়ে পৌর ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর আসমা বলেন, আমি শুনেছি সুমনের সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে। অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়ের সাথে কি করে বিয়ে হয় জানতে চাইলে আসমা এ বিষয়ে কোন নিউজ না করতে অনুরোধ করেন এবং একই সাথে অভয়নগরের একজন ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাটি জানেন বলে জানান।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি তবে বিষয়টি নিয়ে ও.সি সাহেবের সাথে কথা বলেন।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শামীম হাসান বলেন, যেহেতু কেউ অভিযোগ করছেনা সেহেতু উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজকুমার পাল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেব।