প্রতিনিধি ১০ নভেম্বর ২০২২ , ১০:৩৩:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
কচুয়া(বাগেরহাট)প্রতিনিধি।।চলতি মৌসুমে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলাতেই ২৭ কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার আখ বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। এই জেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শবর্তী ও দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা যাচ্ছে। বাগেরহাটে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আখ চাষ। মৌসুমী সবজির পাশাপাশি চাষিরা আখ চাষে ঝুঁকছেন।

উপজেলার গোপালপুর, কচুয়া সদর, রাড়ীপাড়া, বাধালসহ কয়েকটি ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠ আখক্ষেত দেখা যায়। কৃষি অফিসাররা নিয়মিত চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ৯৩ হেক্টর জমিতে অন্তত ৫ হাজার চাষি বিএসআরই জাতের আখ চাষ করেছেন।
চাষি শওকত আলী বলেন, আমি বিগত ৪০ বছর যাবত আখ চাষ করছি। এই অঞ্চলে যখন প্রথম আখ চাষ করতাম তখন আমরা কয়েকজন চাষি ছিলাম। রো’গ বালাই কম ও চাষাবাদ পদ্ধতি সহজ হওয়ায় দিন দিন আখ চাষ বাড়ছে। দিন দিন আখ চাষি বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, পূর্ণ বয়স্ক আখের মাথার কিছু অংশ চারা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সাত থেকে ১২ ইঞ্চি লম্বা খন্ড করে কেটে চারা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বোক (আখের গিরার কাছ থেকে ছোট চারার মতো) বের হয়। বোক বের হওয়া আখের খন্ড ভেজা মাটিতে রেখে দিলে আখের চারা তৈরি হয়। চারা দেওয়া থেকে শুরু করে আখ বিক্রি পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ মাস সময় লাগে। ১৫ থেকে এক মাস পর ভেজা মাটি থেকে উঠিয়ে আগে থেকে কুপিয়ে এবং চাষ দিয়ে রাখা ভিটায় (ক্ষেতে) লাগাতে হয়।
চাষি নাজমুল মোল্লা বলেন, প্রতি শতক জমিতে আখ চাষে ১০০০-২০০০ টাকা ব্যয় হয়। আখ রোপনের প্রথম ৩ মাসে সাথি ফসল হিসেবে লাল শাক, রসুন, পেঁয়াজ, মুলা, ডাটা, মরিচ, শসা ইত্যাদি চাষ করা যায়। খুচরা বাজারে প্রতি পিস আখ ২০-৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। সাথি ফসল চাষে খরচ অনেকটা উঠে আসে।
গোপালপুর এলাকার সালাম মোল্লা বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে আখের চাষ করেছি। আখের ফলন ভালো হয়েছে। আখ চাষে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি আরো লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবো। ইতোমধ্যে ১ লাখ টাকার আখ বিক্রি করেছি।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কচুয়া উপজেলার মাটি আখ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবছর ৯৩ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। আমরা নিয়মিত আখ চাষিরদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই আখ ২৭ কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বিক্রির আশা করা হচ্ছে।

















