প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৯:৪৩:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।সরকার ও বিরোধীদল,রাজনৈতিক জোট এবং জনগণ—সব পক্ষের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে নির্বাচনের অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণের প্রশ্নে।

বিশ্লেষকরা বলছেন,নির্বাচনের বাস্তব অবস্থা প্রভাবিত করছে পরাশক্তি ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।বিশেষজ্ঞদের মতে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে এবং নির্বাচন যদি যথাযথ আইনি ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত হয়,তাহলে দেশরত্ন শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
আইনি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে:
আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা: বর্তমান সময়ে দলটির কর্মকাণ্ডে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, নিবন্ধন স্থগিতাদেশ,এবং নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সরকারের তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বাধাগ্রস্ত করছে।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্য: দলীয় নেতৃত্ব পুনর্গঠন, মামলা বাতিল এবং নেতাকর্মীদের মুক্তির মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন,আওয়ামী লীগের সুসংগঠিত উদ্যোগ ও নেতাদের মুক্তি এবং জনদুর্ভোগ নিরসনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব।এই সরকার নির্বাচনের নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করে,বিএনপি সহ অন্যান্য শক্তি অংশগ্রহণ করতে পারবে।
সামাজিক প্রেক্ষাপটেও নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম।দেশজুড়ে মানুষ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নির্বাচনের স্বচ্ছতা চাইছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন,নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে থাকা রাজনৈতিক শক্তি বিজয়ী হলে,দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।
সম্ভাব্য ফলাফল:
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সরকার গঠন করবে।
রাজনৈতিক সংঘাত ও আইনি জটিলতা হ্রাস পাবে।
দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।
এক অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছেন,“মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ভেতরে ঐক্যবদ্ধ শক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।”











