জাতীয়

পাটপণ্য বহুমুখীকরণ করা সম্ভব হলে রফতানি আগামীতে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পাবে-আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান, নাসির উদ্দিন

  প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২৩ , ৪:৩৮:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন,বাংলাদেশ থেকে এখন বছরে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পাটপণ্য রফতানি হচ্ছে,যার অধিকাংশ বস্তা ও ব্যাগের মতো গতানুগতিক পণ্য।তবে সঠিকভাবে পাটপণ্য বহুমূখীকরণ করা সম্ভব হলে রফতানি আগামীতে পাঁচগুণ হবে।

শনিবার (১৫ জুলাই) স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) এ সম্মেলনে আয়োজন করেছিল।বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাটখাতের সম্ভবনা ও সমস্যা নিয়ে সারা দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি হিসেবে আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেখ নাসির উদ্দিন বলেন,এখন সারা পৃথিবীতে পাটের পণ্য পরিবেশসম্মত যুগোপযোগী।যার খড়ি,তন্তু এমনকি পাতা পর্যন্ত আমরা ব্যবহার করতে পারি।ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে কাপড়ের পরেই প্রায় ১ দশমিক ২ বিলয়ন ডলার রফতানি আয় হচ্ছে। আবার পাটের কিছু কাঁচামাল পুনরায় আমদানি হয়ে ফিনিশড পণ্য হিসেবে রফতানি হচ্ছে; যেগুলো হিসেবে নিলে আবার পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় রফতানিকারক হবে এ বাংলাদেশ।

তিনি বলেন,আমি বিশ্বাস করি,এখনো এ খাতকে এক বিলিয়ন থেকে পাঁচ বিলিয়নে নেয়া যাবে।তবে এ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে এসে শুধু এ পাটকে ব্যাগ বস্তার মতো মোড়কজাত উপকরণ রাখলে চলবে না।এটা কটনের সঙ্গে মিশিয়ে কোর্ট-জ্যাকেটের মতো পণ্য তৈরি করতে হবে।

আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন,আমাদের বড় পাওয়া যে প্রধানমন্ত্রী এ পাটখাততে অত্যন্ত ভালোবাসেন।এ জন্য আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) কাছে আমরা অর্থনৈতিক নয়,নীতি সহায়তা চাই। ষআপনার সেই দরদি দৃষ্টি চাই।যেভাবে আপনি আমাদের পাটকে অন্তর থেকে ভালোবাসেন।আমাদের পাট দিবস দিয়েছেন,যেভাবে আপনি পাটের শাড়ি-ব্যাগ ভালোবেসে বিশ্বময় পরিচিতি দিয়েছেন। ষআমি বিশ্বাস করি,আপনার ওই দৃষ্টি হলে আমরা অবশ্যই পারব।

তিনি বলেন,কিন্তু গত দুই বছর খারাপ যাচ্ছে। প্রায় ৪০ শতাংশ জুটমিল এখন বন্ধ।এই বন্ধ হওয়ার কারণ পাটের সুতার উচ্চমূল্য।কারণ ২ হাজার টাকার সুতা এখন ছয় হাজার টাকা হয়েছে।এজন্য ইরান তুর্কির মতো অনেক দেশের প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিক সুতা ব্যবহার করছে।

সেখ নাসির উদ্দিন বলেন,এরপরেও এ খাত অনেক সম্ভবনাময়।আমরা চারটা মিল পরিচালনা করছি।নতুন করে গোপালগঞ্জ মুকসুদপুরে একটি জুট মিল করছি।যেখানে ২০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।ইতোমধ্যে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি।এগুলো সবগুলো অনেক সম্ভবনাময়।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য এ ব্যবসায়ী সম্মেলনে সারা দেশের চেম্বার,বিশেষায়িত চেম্বার,পণ্যভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন,রফতানিকারক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠনের নেতারা যোগ দেন।পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী,বিদেশি ব্যবসায়ী অংশীদার, আমদানি-রফতানিকারক দেশগুলোর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

আরও খবর

Sponsered content