প্রতিনিধি ১ মে ২০২৩ , ৩:৪২:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোলা জেলা প্রতিনিধি।।টানা দুই মাস পর ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা।এতে সরগরম হয়ে ওঠেছে মাছের আড়ত।
ঘাটে ঘাটে চলছে ইলিশ কেনা-বেচা।ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা না পারলেও যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যাচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট জেলেরা।
এভাবে মাছ ধরা পড়লে বিগত সময়ের সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।জানা গেছে, ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় গেল মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ছিল ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা।
নিষেধাজ্ঞার সময় কাটিয়ে ১ মে থেকে ফের কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা।তারা জাল ও নৌকাসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে নেমে পড়েছেন মাছ শিকারে।মাছ ধরা শেষে জেলেরা ফিরছেন আড়তগুলোতে।এতে সরগরম হয়েছে মাছের আড়তগুলো।অন্যদিকে উৎসবের আমেজ জেলে পল্লীতে।প্রথম দিনে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা না পড়লেও যে মাছ পেয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট বলে জানান জেলেরা।
ইলিশা ঘাটের জেলে মিরাজ বলেন,রাত ১২টার পর চারজন জেলে নিয়ে নদীতে গিয়ে পাঁচ হাজার টাকার মাছ পেয়েছি, এমন থাকলে আমরা বিগত দিনের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো।
করিম ও শাহিন বলেন,প্রথম দিন ২০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি। বলা যায় কিছুটা ভালো,এমন থাকলেই চলবে।
মাছের এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী আড়তদাররাও।ইলিশ ঘাটের আড়ৎদার মো. সাহাবুদ্দিন বলেন,এ ঘাটে প্রথম দিন পাঁচ লাখ টাকার মাছ কেনাবেচা হয়েছে,তবে ইলিশ কিছুটা কম।সামনের দিকে আরও মাছ বাড়তে পারে।
নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় এ বছর ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে মনে করছে জেলার মৎস্য বিভাগ।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন,এখন মাছের উৎপাদন কিছুটা কম।বৃষ্টি শুরু হলে মাছ সাগর থেকে নদীতে আসবে,তখন মাছের উৎপাদন বাড়বে এবং ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে।এ বছর ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন।