প্রতিনিধি ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১:৩৩:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।গত বৃহস্পতিবার মানহানির মামলায় দুই বছরের সাজা হয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর।পরদিনই বাতিল হয়ে যায় তার সংসদ সদস্য পদ।এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার (২৫ মার্চ) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের পুরাতন দলটির নেতৃত্বে থাকা রাহুল।

এদিনও মোদি-আদানি সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,আমি একদম প্রথম থেকে শুরু করছি।আমি একটাই প্রশ্ন করেছিলাম-আদানিজির পরিকাঠামোর ব্যবসা আছে,কিন্তু ব্যবসায় খাটানো টাকা তার নয়।আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম,এই ২০ হাজার কোটি টাকা কার?মিডিয়ার রিপোর্ট থেকে তথ্য নিয়েছি।নরেন্দ্র মোদি ও আদানির সম্পর্ক নতুন নয়।নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকেই এই সম্পর্কের শুরু। বিমানে বসে থাকা নরেন্দ্র মোদির ছবি দেখালাম।আমার বক্তৃতা মুছে ফেলা হলো।আমি স্পিকারের কাছে বিস্তারিত চিঠি লিখেছি এরপর।’
এরপর রাহুল বলেন,কিছু মন্ত্রী আমার সম্পর্কে মিথ্যা বলেছেন।আমি নাকি বিদেশী শক্তির সাহায্য চেয়েছি।কিন্তু এমন কোনো কাজই আমি করিনি।আমি প্রশ্ন করা বন্ধ করব না। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদি ও আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকব।’
সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল এরপর বলেন,সংসদে বক্তব্য রাখা আমার অধিকার।কিন্তু আমাকে বলতে দেয়া হচ্ছিল না। আমি স্পিকার স্যারের চেম্বারে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,কেন তিনি আমাকে কথা বলতে দিচ্ছেন না।তিনি হেসে বললেন যে তিনি আমাকে বলেতে দিতে পারবেন না।তিনি আমাকে তার সাথে এক কাপ চা খেতে বললেন এরপর।’
রাহুল বলেন,আমি এখানে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে এসেছি।আমি তাদের ভয় পাই না।এটা আমার ইতিহাসে নেই।আদানি ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সম্পর্ক কী,তা আমি জিজ্ঞাসা করতে থাকব।’
রাহুল আরো বলেন,সংসদে ফের যাতে আদানিকে নিয়ে কোনো ভাষণ দিতে না পারি,তার জন্যই আমার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হলো।আদানিজিকে নিয়ে ফের কী না কী বলব,তাতে ভয় পেয়েছেন মোদি।তার চোখে আমি ভয় দেখতে পেয়েছি। তাই আমাকে আর সংসদে দেখতে চান না তিনি। প্রথমে তাই নজর ঘোরানো হলো।তারপর আমার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হলো।মোদি ও আদানি- এই দু’জনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক। ভুয়া সংস্থার মাধ্যমে ২০ হাজার কোটির বিনিয়োগ হলো কিভাবে?প্রতিরক্ষা সংস্থার পক্ষ থেকে বিনিয়োগ হলো কিভাবে?প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছেও এর কোনো জবাব নেই।’

















