প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২৩ , ১:৪১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।।বদলী আদেশের এক মাস পার হলেও নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) মোঃ আবদুল হালিম।যে কারনে আগামী ২০ মার্চের মধ্যে বদলীকৃত স্থানে যোগদানের নির্দেশনা প্রদান করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়।

অন্যথায় ২০ মার্চ অপরাহ্ণ থেকে তাৎক্ষনিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিসড) বলে গন্য হবেন।১৩মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রেষন-১ শাখার উপ সচিব আবদুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারী বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) মোঃ আবদুল হালিম কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসাবে প্রেষনে নিয়োগ প্রদান করা হয়।কিন্তু তিনি অদ্যবদি বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
এদিকে বদলী আদেশের দিন অপর এক প্রজ্ঞাপনে তাকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর ক্ষমতা অর্পন কওে মন্ত্রনালয়।এর পরই বরিশাল বিভাগ জুড়ে টার্গেট ইট ভাটায় প্রশ্নবিদ্ধ ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত অভিযান পরিচালনা করতে শুরু করেন পরিচালক হালিম। অভিযোগ উঠে যে সব ইট ভাটা মাসোয়ারা দিতে অস্বীকৃতি জানাতো,ক্ষমতা প্রাপ্তির পর সে সব ভাটায় অভিযান পরিচালনা করতেন হালিম।
ভাটার মালিক কর্মচারীদেও গন হারে জেল জরিমানাসহ মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করত।তার এমন প্রশ্নবিদ্ধ অভিযান নিয়ে খোদ নিজ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মতামত ছিলো।
প্রসঙ্গত আবদুল হালিম ২০১৭ সালে প্রথম বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন।ওই দফায় ছিলেন ২০২০ সাল পর্যন্ত।তখনই অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয় সরকারের গুরুত্বপূর্ন এই প্রতিষ্ঠানটি। এর পর তাকে একটি জেলায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে বদলী করা হয়।কিন্তু বরিশালের মায়ায় পড়ে যান হালিম।
তদ্বির লবিং করে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে এক বছরের মাথায় আবার ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক পদে ফিরে আসেন হালি প্রিয় চেয়ারে আসীন হন তিনি।যার সমাপ্তি ঘটলো দুই বছরেও বেশী সময় পর।প্রিয় চেয়ারে আসীন হয়ে অনিয়ম দূর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিনত করেন প্রতিষ্ঠানাটিকে।শুধু দূর্নীতির আর ঘুষ বানিজ্য করেই থেমে থাকেন নি তিনি।প্রতিষ্ঠানটিকে একনায়কতন্ত্রে রুপ দেন।
অফিসে তার অধিনস্থ উপ পরিচালক থেকে শুরু করে একাধিক সহকারী পরিচালক,পরিদর্শক,ক্যামিস্ট থাকলেও সবাই ননীর পুতুল বানিয়ে রেখেছিলেন তিনি।নিয়ম মাফিক এসব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করা থাকলেও সব কাজের কাজী বনে যান হালিম।অনিয়ম ও দূর্নীতি করে ঘুষের অর্থের একক ভাগিদার হওয়ার জন্য জন্য এই কৌশল অবলম্ভন করেন।অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর চাপা ক্ষোভ ছিলো তার বিরুদ্ধে।

















