অপরাধ-আইন-আদালত

৫৪ ধারা ও রিমান্ড সংক্রান্ত ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনা অধিকতর শুনানির আদেশ দিয়েছে-আপিল বিভাগ

  প্রতিনিধি ১৩ জুলাই ২০২৩ , ৪:০৫:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও রিমান্ড সংক্রান্ত ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনা স্থগিত না করে রাষ্ট্রপক্ষের পুনর্বিবেচনার আবেদনে অধিকতর শুনানির আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।রিটের পক্ষে শুনানি করেন জেড আই খান পান্না ও অনীক আর হক।সঙ্গে ছিলেন মো. শাহীনুজ্জামান।

মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, “রিট আবেদনে চাওয়া কয়েকটি নির্দেশনা বহাল রেখে রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।”

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও রিমান্ড সংক্রান্ত ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনার বিষয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ জুলাই দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনার বিষয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

সাক্ষ্য নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাদক মামলার রায়
১৯৯৮ সালে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারি ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।ওই বছরের ২৩ জুলাই মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রুবেল মারা যান।রুবেলের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে বিচারপতি হাবিবুর রহমান খানের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার।

তদন্ত শেষে ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের পক্ষে কমিটি কয়েকটি সুপারিশ করে।সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ার প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।ওই রিট মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয় হাই কোর্ট।

রায়ে ছয় মাসের মধ্যে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রচলিত বিধান সংশোধন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।পাশাপাশি ওই ধারাগুলো সংশোধনের আগে সরকারকে কয়েক দফা নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়।রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করে।

আপিল আবেদনে বলা হয়,এ দুটি ধারা সংশ্লিষ্ট যে আইনে রয়েছে,তা যথেষ্ট ও সঠিক।এজন্য আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই।২০০৪ সালে সরকারের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ।তবে হাইকোর্টের ওই নির্দেশনাগুলো স্থগিত করেনি।

২০১৬ সালের ১৭ মে আপিল শুনানি শেষ হয়; এরপর ২৪ মে রায় ঘোষণা করা হয়।ওইদিন কিছু নির্দেশনা দিয়ে আপিল খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।

আরও খবর

Sponsered content