প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২৩ , ৫:২৪:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।অবসরপ্রাপ্ত ১৫ জন অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে অসম্মতি জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক আদেশে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে অসম্মতি জানানো হয়।
রবিবার ( ১৩ আগস্ট) বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওই ১৫ জন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে অসম্মতি জানানো হয়েছে।
জানা গেছে,যশোরের শার্শা উপজেলার বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহাব উদ্দীন, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের জিয়াউল হক হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তাজুল ইসলাম পাইন, সিলেটের জকিগঞ্জের সাজ্জাদ মজুমদার বিদ্যা-নিকেতনের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. কুতুব উদ্দিন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের এস পি রশিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মুছাফ কাক্কা মিয়া, নোয়াখালীর সেনবাগের ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুস ছাত্তার, বরিশালের উজিরপুরের ধামুরা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মু. জহিরুল ইসলাম, মৌলভীবাজারের কাজিরবাজার আপ্তাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাকিম মিয়া ও বরগুনার বামনার উত্তর কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. পান্না মিয়ার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে অসম্মতি জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার আলহাজ্ব আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল চৌধুরী,চট্টগ্রামের চান্দাগাঁওয়ের সিডিও পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল আলম, হবিগঞ্জের বহুবলের মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রব, পিরোজপুর সদরের হুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর শেখ, নোয়াখালীর সেনবাগের মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, ভোলার লালমোহসের গাজারিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এবং চট্টগ্রামের পটিয়ার কুসুমপুরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেজামুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে অসম্মতি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত,২০২১ সালের মার্চ মাসে জারি করা স্কুল কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।এর ১১.১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ (এমপিও) ষাট বছর বয়স পর্যন্ত প্রদেয় হবে।তবে ঐতিহ্যবাহী ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং সরকারের কোনো আর্থিক সুবিধা বা এমপিও না নেয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদনক্রমে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে।
এক্ষেত্রে,সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকসহ সব দায়ভার বহন করতে হবে এবং সরকারের কোনো দায় থাকবে না। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও বয়স কোনক্রমেই পঁয়ষট্টি বছরের বেশি হতে পারবে না।

















