অপরাধ-আইন-আদালত

হোটেল বয়’র আড়ালে নারী সাপ্লাই,মাদক ও জালটাকার ব্যবসায়ী হাসান মোল্লার কান্ড-আপন শিশু ভাতিজিকে ভিকটিম সাজিয়ে অর্থ বানিজ্য!

  প্রতিনিধি ৬ নভেম্বর ২০২৫ , ৭:১৯:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।কথায় আছে,নারী-টাকা,মাদকাসক্ত কাছে ধর্ম-কর্ম কিছুই না।একথার বাস্তবে প্রমান মেলেছে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের দিনমজুর মৃত আলকাছ আলী মোল্লার ছেলে আবাসিক হোটেল বয় একাধিকবার জেল খাটা পুলিশের অস্ত্র লুট-হত্যার চেষ্টা,ডাকাতি মামলার আসামি হাসান মোল্লার বেলায়।আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একটি সুত্র জানিয়েছেন,আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করেই সকল অপকর্ম করে বেড়ায়।সর্বদা নেশাগ্রস্ত থাকেন।

পুলিশ-সাংবাদিকের সহিত ভাষার মার্ধুয্য না রেখে ইচ্ছা র বিরুদ্ধে গেলে অকথ্য ভাষা করে,বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করে।হাসান অক্ষর জ্ঞানহীন হলেও নিজেকে ছাম্ভাদিক (সাংবাদিক) পরিচয়ে জাহির করে অপরাধ জগতের মুলহোতা-মাফিয়া টপটেয়র অব ডনখ্যাত।পৃথিবীর সকল ধরনের নিকৃষ্ট জঘন্যতম অপরাধ করে বেড়ায়।দন্ডমুর্খ হলেও শিক্ষিত ভদ্র মানুষের অভিনয় করলেও চরিত্র নিকৃষ্ট পশুর চেয়েও ভয়াবহ।আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য পংকজ নাথের অনুসারী হিসাবে মেহেন্দিগঞ্জে সংঘটিত সকল অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত রয়েছে।বিপুল পরিমান ইয়াবা সহ একাধিকবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বরিশাল-ভোলা কারাগারে বন্দি ছিল।জামিনে মুক্তি পেয়ে বরিশালের এক আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেল বয় হিসাবে চাকরির পান।আবাসিক হোটেলের বয়ের চাকরির আড়ালে ছাম্ভাদিক(সাংবাদিক)পরিচয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে যাওয়া গ্রামের সহজ-সরল মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করেন।যুবতী-কিশোরী মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে গোপন ক্যামেরায় ছবি ধারণ করে ব্লাকমেইল পূর্বক লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।আবার অনেকেই তার দাবিকৃত চাঁদা না দিতে পারলে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।আবাসিক হোটেলে রাত যাপনকারী পুরুষের কাছে নারীদের বিক্রি করে।এছাড়াও যৌন মিলন অধিক সময় পাওয়ার লোভ দেখিয়ে খদ্দের কাছে ইয়াবাও বিক্রি করে আসছে।সাধারণ মানুষকে আবাসিক হোটেলে নারী-ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানায় বেশকয়েকজন ভুক্তভোগী।এসবই ক্ষ্যান্ত নন হাসান।

উল্লেখযোগ্যঃ-আপন ভাই হানিফ মোল্লার মেয়ে চরবগী ঈদগাহ এরব দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী আরিফা(১৫) কে ভিকটিম সাজিয়ে একাধিক নিরীহ মানুষকে ফাঁসিয়ে লাখ লাখ টাকার হাতিয়ে নিয়াছে।বাহেরচর গ্রামের মেম্বার মোঃ নোমান মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।তিনি বলেন-চরফেনুয়ার আনন্দ বাজারের কাঁচা-মাল ব্যবসায়ী আহাম্মাদ হাওলাদারের মেয়ের বাসায় গিয়ে দৌলতখান থানার এক যুবকের সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক করে পালিয়েছে।তারপর ওই যুবক সহ ৫/৬জন মিলে আরিফাকে ধর্ষণ করছে।এরপরে গ্রামে আসিয়া আহাম্মাদ হাওলাদারের মেয়ের জামাই’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।স্হানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হোসেন সিকদার,হাসেম মোল্লা,সিদ্দিক গাজী সহ ৩ মেম্বার বিচার-সালিশির মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণিত হলেও ৯০হাজার টাকা নগদ হাতিয়ে নিয়াছে।এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি।চলতি বছরের ২২মার্চ ভোলার দৌলতখান থানার হাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলাম এর ভাড়াটিয়া রাসেল(২১) বাসায় গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনের পর দেড়লাখ কাবিন রেজিস্ট্রি মূলে বিয়ের পরে ১সপ্তাহ না যেতেই দৌলতখান থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কাবিনের দেড়লাখ টাকা দাবি করেন।দৌলতখান থানায় মামলা গ্রহণ না করায় ভোলার ইউটিউবার “চ্যানেল ভোলা” এক অনলাইন প্লাটফর্মের সাংবাদিকের মাধ্যমে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক বিরোধী আইনের ৩ধারা মামলা করেন।যা মামলা নং এমপি ২৯৮(৯/১০/২০২৫) তারিখ।বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ১৮ধারা লঙ্ঘন আইনে বাল্যবিবাহ প্রমাণিত হওয়ায় ২-৭ বছরের সাজা হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পরবর্তীতে বরিশাল নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ পূর্বক ধর্ষণ মামলা করছে।যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।নিজের ইচ্ছায় ৭/৮জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে রাসেলকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছে মেম্বার নোমান মোল্লা।

এঘটনার বিষয়ে ইসমাইল হোসেন রাসেল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,মেয়ের সাথে আমার কোনো সন্পর্ক ছিলনা। আমার কর্মস্থল ঢাকায় এসেছিলো।আমাকে না পেয়ে আমার কলিগ এর বাসায় থেকে আজেবাজে ছেলের সাথে নষ্টামী করছে।এমনকি লঞ্চে আসা-যাওয়ার সময়েও কেবিন ভাড়া নিয়ে ৩/৪জন কেবিন বয়ের সাথে আকাম করছে।আমার গ্রামে গিয়ে ভূয়া কাবিননামা দেখিয়ে বিচার-সালিশির নামে আমার পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়াছে।আমাকে ফাঁসাতে মেয়ের মুখ ডাকা ধর্মের ভাইর বাসায় ২/৩মাস ছিল।ভোলার ২জন সাংবাদিক মা-মেয়েকে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রেখে ভোগ করছে।এমনকি যৌতুক মামলা করার আগে ৫/৬দিন ভোলা-বরিশাল হোটেলে রেখে ভোলার এক ইউটিবার মা-মেয়েকে ভোগ করছে।ডিএনএ টেস্ট করলেই প্রমান পাওয়া যাবে।আমরাও আইনের আশ্রয় নিবো।

এব্যাপারে হাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন,আমি কোনো ঝামেলায় জড়াইনা। আমার পেশাগত দায়িত্বে খাতিরে সবার সাথেই সম্পর্ক রেখে অভিভাবক সুলভ আচারণ করি।আরিফার বিষয়টি আরিফার বাপ-চাচা,মাসহ স্হানীয়রা জানিয়েছে।তাদের সবার সম্মতিতে সমাধান হয়েছে।কাবিনের মেয়ের পক্ষের স্বাক্ষী মেয়ে আপন চাচা হাসান মোল্লা ও তার ফুফাতো ভাই যুবায়ের ঝুনু।মেয়েটা সংসার করবেনা বলে টাকা-পয়সা,স্বর্নাংলকার নিয়ে গেছেন।আমার বিরুদ্ধেও নাকি ধর্ষণের সহযোগিতার মামলা করছে। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।যারা বিয়ের স্বাক্ষী। যারা সালিশ-বিচার করে টাকা খেয়েছে।তারা কেন আসামী হলোনা।

অভিযোগের বিষয়ে আরিফার কাছে জানতে চাওয়া হলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।বিয়ের তারিখের আগে ১১বার রাসেল ধর্ষণ করছে বললেও নিদিষ্ট তারিখ ও সময় বলতে পারেননি!চলতি বছরের ২২ মার্চের পর ৩৬ দিনে প্রতিদিন রাত-দিনে মিলে ৬/৭ শারীরিক মেলামেশা করছে বলে জানান।

আরিফার মা খাদিজা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, মামলা করছি,আদালত বুঝবে।আদালত যদি মা-মেয়েকে জেলে দেন,জেলে যাবো।তবুও সাংবাদিক-পুলিশের ধার-ধরিনা।

অভিযুক্ত হাসান মোল্লা সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ঘটনার বিষয় এড়িয়ে গিয়ে বলেন-এই বিষয়ে কোনো নিউজ করলে সাংবাদিক যেহোক না কেন খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো।

এবিষয়ে মেহেনিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ ফকরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন-বাদী খাদিজার নালিশি মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল হইতে থানায় পাঠানোর পরে প্রাপ্য হয়ে আইন অনুযায়ী রুজু করে তদন্তের পরে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।




filter: 0; jpegRotation: 90; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0; module:1facing:0;
hw-remosaic: 0;
touch: (-1.0, -1.0);
modeInfo: ;
sceneMode: Night;
cct_value: 0;
AI_Scene: (-1, -1);
aec_lux: 23.0;
hist255: 0.0;
hist252~255: 0.0;
hist0~15: 0.0;


আরও খবর

Sponsered content