অপরাধ-আইন-আদালত

সিলেটে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড

  প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০২৩ , ১:৪৮:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

সিলেট জেলা প্রতিনিধি।।সিলেটে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে হত্যার দায়ে হিফজুর রহমান (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিফুজর রহমান সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিন্নাকান্দি গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে।

আলোচিত হত্যা মামলায় ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে আরও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দুই শিশুকে হত্যার দায়ে আদালত ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। সিলেট জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নিজাম উদ্দিন জানান, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আদালত হিফজুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে, নিহত ১, আহত ৩

২৪ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালের ১৬ জুন স্ত্রী আলেমা বেগম ও দুই সন্তান মিজান ও আনিছা বেগমকে ঘুমন্ত অবস্থান দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন হিফজুর রহমান। হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা আইয়ুব আলী। পরে পুলিশ হিফজুর রহমানকে সন্ধিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হিফুজর নিজেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করলে পুলিশ তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

পরে গোয়াইনঘাট থানার ওসি ওমর ফারুক হিফুজর রহমানকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে (৪৮ নম্বর) অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ৭ জুলাই সিলেট দায়রা জজ আদালতের বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হিফজুর বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে একইসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ি।

পরে আমি স্বপ্নে দেখি আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে বড় বড় রুই মাছ ও সাপ এসে খেয়ে ফেলতেছে। বসতঘর থেকে বটি দা নিয়ে অন্ধকারের মধ্যে তাদেরকে বাঁচানোর জন্য এলোপাতাড়ি কুপিয়েছি। পরে ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দেখি আমি আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলেছি।

আরও খবর

Sponsered content