জাতীয়

সিলেটের ১০ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক প্রায় ১৮ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা যাবে-নসরুল হামিদ

  প্রতিনিধি ২৬ নভেম্বর ২০২৩ , ২:৪৭:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন,সিলেটের নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক প্রায় ১৮ এমএমসিএফ গ্যাস অর্থাৎ ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন,নতুন করে খনন করার পরে সিলেট গ্যাস ক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে আমরা দৈনিক প্রায় ১৮ এমএমসিএফ গ্যাস অর্থাৎ,১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেতে যাচ্ছি।এটি খুবই হাইপ্রেশার,প্রায় ৩ হাজার ৪০০ পিএসআই প্রেসার। আশা করছি,এখানকার গ্যাস সিস্টেমে আনতে আগামী ৭ মাস সময় লাগবে,কারণ আমাদের হাইপ্রেসার লাইন বানাতে হবে।

পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে যাওয়ার কথা ‍উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের যে পরিকল্পনা, সেই অনুযায়ী,২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ৬০০ এমএমসিএফ গ্যাসের মধ্যে এই কূপটিও ছিল।এই পর্যন্ত গত ৮ মাসে আমরা প্রায় ১০০ এমএমসিএফ গ্যাস নতুনভাবে আনার ব্যবস্থা করছি।আমরা আশাবাদী,আগামী ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৫০০ এমএমসিএফ গ্যাস আমরা সিস্টেমে দিতে পারব।

তিনি বলেন,এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট সুখবর।বিশেষ করে ভোলা,বিয়ানীবাজার,সিলেট-১০ এর সবই আমাদের আবিষ্কৃত গ্যাস।সব মিলিয়ে,প্রায় ৪৬টি কূপ দুই বছরের মধ্যে খনন করতে যাচ্ছি।এগুলো খনন শেষ হলে আমরা আশাবাদী আমাদের সিস্টেমে প্রায় ৬০০ এমএমসিএফ গ্যাস প্রবেশ করবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,অর্থনৈতিকভাবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আগের চেয়ে গ্যাস কিছুটা হ্রাস পাবে।অন্যদিকে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস আবার যোগ হবে।

কৈলাশটিলা-২ কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ এমএমসিএফ গ্যাস পাওয়া যাবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন,এখনকার গ্যাস মূল্য যদি ধরি,সেটির মূল্য প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা।আমরা যদি এলএনজির মূল্যের সঙ্গে তুলনা করি,তবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার গ্যাস।মূলত এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বর মাসে আমাদের ফিজিবিলিটির রিপোর্ট দিয়ে দিবে কনসালটেন্ট।সেখান থেকে আমরা পাইপ নির্মাণ করে বরিশাল হয়ে খুলনাতে নিয়ে যাব।সেটি করতেও আমাদের প্রায় আড়াই বছর লাগবে।

ভোলায় গ্যাস পাওয়া নিয়ে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভোলায়ও আমরা আশাবাদী একটি ভালো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এটিও দ্রুততার সঙ্গে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করব।

গ্যাসের পর প্রসেস প্ল্যান করতে হবে জানিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন,প্রসেস প্ল্যানের পর আমাদের গ্যাস সার্ভে করতে হবে।পাইপলাইন ও প্রসেস প্ল্যান সমান্তরালে কাজ করলে বছর দুয়েক সময় লাগবে।

শেভরন বিবিয়ানাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় কাজ করছে। এক্ষেত্রে অগ্রগতি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন,বিবিয়ানা এক্সটেনশনে আমরা আশাবাদী,২০২৭ সালের পর থেকে আমাদের একটি ভালো সম্ভাবনা আছে।ইতিমধ্যে আমরা সার্ভের রেজাল্ট দেখেছি,সেখানে শেভরন কাজ করছে। ২০২৭ সালের পর আমরা একটি ভালো অবস্থানে যেতে পারবো।

আরও খবর

Sponsered content