প্রতিনিধি ১০ জুলাই ২০২৫ , ৬:৪৭:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর আতিউর রহমান,ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ৯ শীর্ষ কর্তাদের সময়ের আলোচিত ঋণ জালিয়াতি ও ব্যক্তিগত তথ্যসহ সংশ্লিষ্ট ২৩ ধরনের নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।একই সঙ্গে ২০০৯ সালে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার পর নতুন নীতিমালা জারি হওয়ার পর সুবিধাপ্রাপ্ত বেক্সিমকো গ্রুপ,এম আর গ্রুপ, রতনগ্রুপ,কেয়া গ্রুপ,যমুনা গ্রুপ,থার্মেক্স গ্রুপ,শিকদার গ্রুপ, বিবিএস গ্রুপ,আব্দুল মোনেম গ্রুপ,এনানটেক্স গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ঋণ গ্রহণের বিস্তারিত নথি চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুদকের রণজিৎ কুমার কর্মকার স্বাক্ষর করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।চিঠিতে তলব করা নথি জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
তলব করা নথি-পত্রের মধ্যে রয়েছেঃ-
সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান,সাবেক গভর্নর ফজলে কবির,সাবেক গভর্নর,জনাব আব্দুর রউফ তালুকদার, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস.কে. সুর চৌধুরী,সাবেক প্রধান বিএফআইইউ মাসুদ বিশ্বাস,সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস.এম. মনিরুজ্জামান,সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান,সাবেক প্রধান,বিএফআইইউ,জনাব কাজী সায়েদুর রহমান,সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও আবু ফারাহ মো. নাছেরের কার্যকাল,দায়-দায়িত্ব সংক্রান্ত তথ্য এবং তাদের বর্তমান ঠিকানা,স্থায়ী ঠিকানা,মোবাইল নম্বর,এনআইডি, পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি।
২০০৯ সালের পূর্বের খেলাপি ঋণ নিয়মিতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালার সত্যায়িত ফটোকপি।
২০০৯ সালের পর হতে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার জন্য যেসব নীতিমালা জারি করা হয়েছে তার সত্যায়িত ফটোকপি এবং উক্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও জারী নথির সত্যায়িত ফটোকপি।
২০০৯ সালের পর খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার নতুন নীতিমালা জারি হওয়ার পর হতে উক্ত নীতিমালার সুবিধাপ্রাপ্ত বেক্সিমকো গ্রুপ,রতনপুর গ্রুপ,কেয়া গ্রুপ,যমুনা গ্রুপ, থার্মেক্স গ্রুপ,শিকদার গ্রুপ,বিবিএস গ্রুপ,আব্দুল মোনেম গ্রুপ,এননটেক্স গ্রুপসহ যেসব গ্রুপ বা প্র বা ব্যক্তি উক্ত সুবিধা প্রাপ্ত হয়েছেন এবং নামে-বেনামে নেওয়া ঋণ।
২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত খেলাপি ঋণের তালিকা।
২০০৯ সালের পর জারি হওয়া ব্যাংক পরিদর্শন সংক্রান্ত নীতিমালার সত্যায়িত ফটোকপি এবং নীতিমালা প্রণয়ন ও জারির নোটশীটসহ নথির সত্যায়িত কপি।
হলমার্ক ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন ও এ সংক্রান্ত কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার নোটশীট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন এবং বেসিক ব্যাংক জালিয়াতি সংক্রান্ত বিষয়ে গৃহীত সব পদক্ষেপ, নোটশীটসহ নথি এবং পরিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
নতুন ৯টি ব্যাংক (মেঘনা ব্যাংক,মিডল্যান্ড ব্যাংক,মধুমতি ব্যাংক,এনআরবি ব্যাংক,এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক,সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক,ইউনিয়ন ব্যাংক, এবং দ্য ফার্মার ব্যাংক অনুমোদন সংক্রান্ত পরিপত্র ইত্যাদি তথ্য।
ঋণ পুনর্গঠন সংক্রান্ত নীতিমালা (২০১৫) প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনাব সালমান এফ রহমানের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা নোটশীটসহ নথি এবং পরিপত্রের কপি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য, অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন এবং সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যসহ সত্যায়িত কপি।
ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এর শেয়ার ক্রয়, মালিকানা,নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নোটশীটসহ নথি এবং পরিপত্রের কপি।
সাবেক গভর্নর ফজলে কবিরের কার্যকালে জারি করা সব ঋণ নীতিমালার সত্যায়িত কপি।
সুদের হার ৯ সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার/নীতিমালার সত্যায়িত কপি।
খেলাপি ঋণমুক্ত থাকার পদ্ধতি চালুর জন্য গৃহীত নীতিমালার সত্যায়িত কপি।
সাবেক গভর্নর ফজলে কবিরের কার্যকালে বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালার সত্যায়িত কপি।
সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের কার্যকালে ব্যাংক আর্থিক খাতে বেনামী ও জালিয়াতি করা ঋণ সংক্রান্ত। রিজার্ভ থেকে ব্যবসায়ীদের ডলার বরাদ্দ সংক্রান্ত নোটশীটসহ নথি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত কপি।
সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস.কে.) সুরের অনুমোদিত ব্যাংকের নোটশীট,নথি এবং পরিপত্র।
সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও এস.এম. মনিরুজ্জামানের কার্যকালে ব্যাংক পরিদর্শন সংক্রান্ত নোটশীটসহ নথি ও পরিপত্র।
সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসানের সময়কালে অর্থপাচার সংক্রান্ত তথ্য।
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান কাজী সায়েদুর রহমানের কার্যকালে ডলার বাজারে অস্থিতিশীলতা/বিশৃঙ্খলা সংক্রান্ত তথ্য।
সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসেরের কার্যকালে জারি করা ঋণ নীতিমালার নোট শীট,নথি এবং পরিপত্র/প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি এননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান,অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

















