অপরাধ-আইন-আদালত

সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ ছাড়া শ্রম আদালতে মামলা করায় বাদীকে শোকজ

  প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২৩ , ২:৩৮:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ ছাড়া শ্রম আদালতে মামলা করায় বাদীকে শোকজ করেছেন আদালত। আগামী ৬ জুন পরবর্তী শুনানিতে বাদীকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি আদেশে সাঈদ খোকনের জামিন আবেদন মঞ্জুর ও তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন প্রথম শ্রম জজ আদালতের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী।

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ৩০৩(৫) এবং ৩০৭ ধারা অনুযায়ী ২০২১ সালে প্রথম শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ঢাকা জেলার শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো. মাসুদ আলম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

সোমবার (২৯ মে) প্রথম শ্রম জজ আদালতে মামলাটির শুনানি হয়।শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাঈদ খোকন।পরে মঙ্গলবার (৩০ মে) শ্রম জজ আদালতের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলীর সই করা আদেশের কপি হাতে পান বিবাদীপক্ষের আইনজীবী।

মামলার এজাহারে বলা হয়,মামলাটির বাদী ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর রোডের হোটেল লং বিচ পরিদর্শন করেন।তখন তিনি বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের জন্য সার্ভিস বইয়ের ব্যবস্থা না থাকা,নির্ধারিত তথ্য সংবলিত শ্রমিক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ না করা,শ্রমিক বা কর্মচারীদের আইন অনুযায়ী ছুটি না দেয়া,রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখেন।পরে লং বিচ কর্তৃপক্ষকে রেজিস্টার্ড ডাকে তাগিদপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু বিবাদীরা কোনো জবাব দেননি।তাই বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, ধারা ৩০৩(৫) এবং ৩০৭ মোতাবেক প্রথম শ্রম আদালতে বাদী হয়ে মামলা করেন মাসুদ আলম।

মামলায় লং বিচ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন,ব্যবস্থাপক জেরাল্ড রেবেরো,সহকারী ব্যবস্থাপক তৌতম ব্রামার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

 

মামলার বিষয়ে সাঈদ খোকন গণমাধ্যমকে জানান, মামলাটির সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।গুলশানের যে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে,সেটির মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গেও তিনি কোনোভাবে জড়িত নন। হয়রানির উদ্দেশ্যে এমন মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

বিবাদীদের আইনজীবী সেলিম আহসান খান বলেন, মামলায় লং বিচ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বিবাদী সাঈদ খোকনের নাম দেয়া হয়েছে।যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।বরং ওই হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।যার ট্রেড লাইসেন্স আদালতে দাখিল করা হয়েছে।অন্য দুই বিবাদীরাও লং বিচের কর্মকর্তা বা কর্মচারী নন।এটি একটি হয়রানিমূলক মামলা।তাই আদালত শুনানি শেষে বাদীকে শোকজ করেছেন।

সাঈদ খোকনের পিএস মোহাম্মদ সুমন জানান, হোটেলটি যে ভবনে অবস্থিত সেটির ল্যান্ডওনার বা ভবন মালিক সাঈদ খোকন।কিন্তু ওই ভবনের কোনো প্রতিষ্ঠানের দোষতো উনার ওপর বর্তায় না।আমরা মনে করছি, হয়রানির জন্য এমন একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content