জাতীয়

সাইবার নিরাপত্তা বিল ঢেলে সাজাতে সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে-টিআইবি

  প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৬:২৭:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।সাইবার নিরাপত্তা বিল ঢেলে সাজাতে সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন ধারার মাধ্যমে মত প্রকাশ, ভিন্নমত,চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কর্তৃপক্ষের ইচ্ছামতো অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ রাখা হয়েছে,যা উদ্বেগজনক।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো বিলটি যাতে মত,চিন্তা,বিবেক,বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ারে পরিণত না হয়,তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে তারা।

শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন,মানুষের মধ্যে এরূপ প্রত্যাশা জন্ম নিয়েছে, যেসব কারণে ডিএসএ (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) রহিত করা হচ্ছে,সিএসএতে (সাইবার নিরাপত্তা আইন) সেসব উপাদান থাকবে না এবং এর পরিধি ও উদ্দেশ্য হবে সুনির্দিষ্টভাবে সাইবার অবকাঠামো,ইন্টারনেট ও সংশ্লিষ্ট সব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা এবং এসবের অবাধ ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত আইনি কাঠামো তৈরি করা।

টিআইবি বলছে,খসড়া সাইবার নিরাপত্তা বিলে ডেটা ও তথ্য অপসারণে বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবারিত ক্ষমতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধারণার ওপর ভরসা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিধান রাখা হয়েছে।ডিএসএর নিবর্তনমূলক উপাদানের সিংহভাগ ধারাই সিএসএ-তে হুবহু প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে,প্রস্তাবিত আইনে বিচারিক নজরদারি ছাড়া অপরাধ তদন্ত এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ঢালাও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।অনেক ক্ষেত্রে কারাদণ্ড বাদ দিয়ে অর্থদণ্ডের কথা বলা হয়েছে,যা বাস্তবে যে কৌশলে সাংবিধানিক অধিকারকে অপরাধ হিসেবে পরিগণিত করা হয়েছে।মত ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতার চর্চার কারণে মানহানির মতো অভিযোগের প্রচলিত আইনে বিচার করা সম্ভব,এমন অনেক বিষয় অযৌক্তিকভাবে এই বিলের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।অথচ আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী সাইবার নিরাপত্তা আইনের জন্য অপরিহার্য অনেক উপাদান এই খসড়ায় নেই।

আরও খবর

Sponsered content