অপরাধ-আইন-আদালত

সাংবাদিক শিকদার মাহবুবকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

  প্রতিনিধি ৯ জুলাই ২০২৩ , ৩:৫২:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।।সাংবাদিক শিকদার মাহবুবকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কাউনিয়া থানা পুলিশ।প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর গত ১২ জুন আদালত তা গ্রহণ পূর্বক বিচারের জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সায়েম-উল-আলম রিপন।আইনজীবী সায়েম-উল-আলম রিপন বলেন, মামলার চার্জশিটভুক্ত ১ নম্বর আসামী হলো বরিশাল নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার মোহাম্মদ আলী সিকদারের ছেলে মিরাজ সিকদার,২ নম্বর আসামী মৃত জাফর সিকদারের ছেলে মোঃ নাঈম সিকদার, ৩ নম্বর আসামী মৃত মোশাররফের ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম মিথুন,৪ নম্বর আসামী মৃত ওসমান সিকদারের ছেলে মোঃ লোকমান সিকদার।

এ বিষয়ে কথা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইদুল হক বলেন, ” সাংবাদিক শিকদার মাহবুবের ওপর হামলার ঘটনা সত্য।মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।এখন মহামান্য আদালত ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে বাদীকে সহায়তা করবে।”

উল্লেখ্য,২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর সাংবাদিক শিকদার মাহবুব মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে তার বাসায় ফিরে। বাসা থেকে তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়িপেটা করে আসামীরা।এসময়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ওই সময় সাংবাদিক শিকদার মাহবুবের মা ফরিদা পারভীন বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় জিআর ৩০৯/২২ মামলা দায়ের করেন।

মামলা গ্রহণের পর থেকেই আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর আদালত থেকে আসামীরা জামিনে মুক্তি পায়।অতঃপর দীর্ঘ কয়েক মাস পর ওই মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়।এদিকে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে,২০০১ সালে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম হত্যা মামলায় দীর্ঘবছর বরিশাল কারাগারে ছিলো মিরাজ, স্থানীয় ফারুক সিকদারের বাসায় ডাকাতি ও বরিশাল অপসোনিন কোম্পানির ট্রাক ড্রাইভার থাকাকালীন থ্রী নট থ্রী রাইফেলের একাধিক বুলেটসহ আটক হওয়ার মামলায় কারাগারে ছিলো নইয়া।

এছাড়াও নিজ বাসায় ফেনসিডিল উৎপাদন ও বিক্রি করার অপরাধে নইয়ার বাসা রেড দেয় পুলিশ। কিন্তু নইয়া পালিয়ে গেলেও তার বাবা জাফর সিকদার আটক হয়ে যায়। ফেনসিডিল উৎপাদন ও বিক্রি করার অপরাধে নইয়ার বাবা জাফরের দীর্ঘ মেয়াদি সাজা হয়ে যায়।একপর্যায়ে উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার ছাত্রলীগ নেতা মাসুমকে নির্মমভাবে হত্যা করে এলাকায় বিএনপির ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এরা।এখন আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে এরা জমি দখল মিশনে ব্যাস্ত।দো-আইচলা রাজনৈতিক এসব ব্যাক্তিরা সবসময় লিয়াজো মেইনটেইন করে তাদের পিঠ বাঁচিয়ে চলে।

আরও খবর

Sponsered content